ইউপিডিএফ সভাপতিসহ ২৭ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
পার্বত্যাঞ্চলের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসাসহ ২৭ নেতাকর্মীকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেন। একই সাথে তাদের অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকেলে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্টরা।
মামলার আসামিরা হলেন-ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসা (৫৪), রঞ্জন মনি চাকমা জেনিট (৫২), সবিচ চাকমা সজল সুকর্ণ (৫৭), শান্তিদেব চাকমা সানি (৫০), সুমেট চাকমা (৪৫), উদয় শংকর চাকমা (৫২), প্রমোদ বিকাশ খীসা (৫৩), অমর জীবন চাকমা (৫৫), সর্বানন্দ চাকমা মকানন্দ (৪১), কানন কুসুম চাকমা (৪৭), রবিচন্দ্র চাকমা (৪৮), বিমল চাকমা উদয় (৫০), সুবিকাশ চাকমা (৩৭), সুজন মনি চাকমা (৩২), মধুরঞ্জন চাকমা (৪৮), অনিল চাকমা (৩০), সুপন চাকমা সুশীল জীবন (৫২), জ্যোতিলাল চাকমা (৫২), বিদ্যাময়ী ডিএম (৪০), অমর কান্তি চাকমা (৫০), কালামনি চাকমা (৩০), বৌধিসত্য চাকমা রিচার্জ (৪৪), বাবুল চাকমা (৩৫), তুষাণ চাকমা (৩০), সুশীল চাকমা (৩০), রহিম চাকমা (২৫) ও বিবিদ রতন চাকমা (২২)।
রাঙামাটির নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন হালদার বলেন, ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল কালুময় চাকমাকে নানিয়ারচরের বাসা থেকে তুলে নেয় সন্ত্রাসীরা। পরে বাথছড়ি শ্মশান থেকে কালুময় চাকমার দাহ করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কালুময় চাকমার হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায়ে এডমিশন চাকমা বাদী হয়ে ওই সময় ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ইউপিডিএফের অভিযুক্ত কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।