এক মাসে ২২ ভারতীয় ও মিয়ানমারের সাড়ে ৪ হাজার নাগরিক আটক
সোমবার,
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ডেস্ক রিপোর্ট:
গত আগস্ট মাসে দেশের সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২২ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এছাড়া মিয়ানমারের ৪ হাজার ৫০৬ জন নাগরিককে আটকের পর তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৭২ কোটি ৬৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বিজিবি।
৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৩ জন চোরাকারবারি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১২৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ২২ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া মিয়ানমারের ৪ হাজার ৫০৬ জন নাগরিককে আটকের পর তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা আরও জানান, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২৯ কেজি ১৩১ গ্রাম সোনা, ১৬ কেজি ৩০০ গ্রাম রুপা, ৩ কেজি ৬০১ গ্রাম সাপের বিষ, ১ লাখ ২১ হাজার ৫৫১টি কসমেটিকস সামগ্রী, ২৫ হাজার ৯২২টি ইমিটেশন গহনা, ১২ হাজার ১৮৩টি শাড়ি, ৪ হাজার ৫৭টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরি পোশাক, ২ হাজার ২৬১ মিটার থান কাপড়, ২ হাজার ২৭ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ৭৩১ কেজি ৫০০ গ্রাম চা পাতা, ৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৩ কেজি চিনি, ১৭ হাজার ৩৮০ কেজি কয়লা, ১৯ হাজার ৪৩৯টি মোবাইল ডিসপ্লে, ১ লাখ ২৬ হাজার ৩০৪টি চশমা, ১ হাজার ৩৬৬ কেজি ৫০০ গ্রাম জিরা, ৬টি ট্রাক, ১২টি পিকআপ, ৪টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৯টি ট্রলি, ১৯১টি নৌকা, ১৭টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৩৮টি মোটরসাইকেল এবং ৩২টি বাইসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৩টি পিস্তল, ২টি গান জাতীয় অস্ত্র, ১টি মর্টার শেল, ১টি ম্যাগাজিন এবং ১৮ রাউন্ড গুলি।
জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১২ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৭ পিস ইয়াবা, ১২ কেজি ৯১৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৭ কেজি ৩৫ গ্রাম হেরোইন, ১৫ হাজার ৭২৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৮ হাজার ৭৫৬ বোতল বিদেশি মদ, ৫৬৮ লিটার বাংলা মদ, ১ হাজার ৮৫৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৩৭৭ কেজি ৫৮ গ্রাম গাঁজা, ১ লাখ ৭৪ হাজার ২৮৪ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৩৯ হাজার ৫৯৭টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩ হাজার ৯৮০ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১ কেজি ২৫০ গ্রাম কোকেন, ১ হাজার ৪৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ২ লাখ ৮০ হাজার ১১৫টি বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ২০ বোতল এলএসডি এবং ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭০টি অন্যান্য ট্যাবলেট।