মধ্যপ্রাচ্যে ফুটবল ক্যাম্প আয়োজনের পরিকল্পনা বাফুফের
শেখ সাজ্জাদ মাহমুদ:
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ এরই মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলেছে। ১৬ নভেম্বর মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ গোলে হেরেছে জামাল ভূঁইয়ারা। ২১ নভেম্বর ঢাকায় লেবাননের বিপক্ষে ড্র করেছে ১-১ গোলে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের যে চারটি ম্যাচ বাকি, তার দুটোই হবে মধ্যপ্রাচ্যে। ২১ মার্চ বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচ খেলবে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে। ম্যাচের ভেন্যু এখনো ঠিক হয়নি।
তবে ম্যাচটি কুয়েতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, দেশটি তাদের আগের হোম ম্যাচটি খেলেছে কুয়েতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচে তারা হেরেছে ১-০ গোলে। ধরেই নেওয়া হচ্ছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটিও ফিলিস্তিন খেলবে কুয়েতে।
২৬ মার্চ ফিলিস্তিন খেলবে ঢাকায়। বাংলাদেশের শেষ দুই ম্যাচ জুনে। ৬ জুন বাংলাদেশ আতিথেয়তা দেবে অস্ট্রেলিয়াকে এবং শেষ ম্যাচ ১১ জুন লেবাননের বিপক্ষে বৈরুতে। ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচের জন্য রাকিব-বিশ্বনাথদের প্রস্তুতি মধ্যপ্রাচ্যে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বাফুফে।
সৌদি আরব বা কাতারের যে কোনো একটি দেশে হতে পারে জামাল ভূঁইয়াদের আবাসিক ক্যাম্প। সেক্ষেত্রে সৌদিতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, সাম্প্রতিক সময় সৌদি ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে বাফুফে সম্পর্ক অনেক ভালো। এর আগেও বাংলাদেশ দলকে তাদের দেশে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিল সৌদি ফুটবল ফেডারেশন।
জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরবেন শনিবার। তারপর তিনি দেখবেন চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও ফেডারেশন কাপের খেলা। তবে মার্চের দুই ম্যাচের জন্য খেলোয়াড় স্কাউটিংয়ের কাজ থেমে নেই। স্পেন থেকেই ক্যাবরেরা সব ধরনের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন তার সহকারী হাসান আল মামুনকে।
হাসান আল মামুন বলেন, ‘কোচের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তিনি স্বাধীনতা কাপের কিছু খেলা দেখে গেছেন। স্পেনে বসেও খেলা দেখছেন। আমি তাকে খেলার লিঙ্ক পাঠাই। নিয়মিত তিনি আমাকে গাইডলাইন দিয়েছেন। আমি ঘরোয়া ম্যাচগুলো দেখছি। কোন খেলোয়াড় খেলছেন, কোন খেলোয়াড় খেলছেন না এবং কেন খেলছেন না-এইসব তথ্য কোচ আমার কাছ থেকে নিয়মিত নিয়েছেন।’
২১ ও ২৬ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচ। এই দুই ম্যাচের জন্য প্রস্তুতির রোডম্যাপ কেমন হবে তা ঠিক করা আছে বলেই জানালেন হাসান আল মামুন, ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বের খেলা শেষ হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। এর পর সপ্তাহখানেক বিশ্রামের পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে ক্যাম্প ডাকা হবে। আমার পরিকল্পনা ১ বা ২ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্প শুরু করা।’
খেলা যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যে তাই ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচের আবাসিক ক্যাম্পে মধ্যপ্রাচ্যে করার পরিকল্পনাই নিয়েছে বাফুফে। ‘আমরা হয়তো মার্চের প্রথম সপ্তাহে সৌদি আরব যাব আবাসিক ক্যাম্প করার জন্য। তখন যদি কোনো দেশ সেখানে থাকে তাহলে আমরা একটা আনঅফিসিয়াল প্রীতি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো। না হলে কোনো ক্লাব দলের বিপক্ষে’-বলেছেন হাসান আল মামুন।
জাতীয় দলের আবাসিক ক্যাম্প মধ্যপ্রাচ্যে আয়োজনের বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘মার্চের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হবে। সৌদি আরব ও কাতারের যে কোনো একটি দেশে জাতীয় দলের আবাসিক ক্যাম্প আয়োজনের জন্য আমরা কাজ করছি। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আশা করি, হয়ে যাবে।’