নির্বাচনে নিজেদের কারণে দুর্নাম হোক সেটা চাই না: ওবায়দুল কাদের
৩০ আষাঢ় ১৪৩০বঙ্গাব্দ,
১৪ জুলাই ২০২৩ইং
ফারহানা আফরোজ রুনাঃ
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের কারণে দুর্নাম হোক সেটা আওয়ামী লীগ চায় না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন কিছু করা যাবে না যাতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। জনগণ যাতে মনে না করে আমরা সংঘাতের উসকানি দিচ্ছি। আমরা জেতার দল আমরা জিতবই। আগামী কয়েক মাস ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ডিসেম্বর থেকে গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছে। সেখান থেকে পদত্যাগের ডাক। এসব কর্মসূচি দেখলে বোঝা যায় তাদের কতটা অবনতি হয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরাও হতাশ। এসব কর্মসূচির কারণে সরকার পালাতে পারবে না, এমন একটা ভাব দেখিয়েছি। শেষমেশ গোলাপবাগে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে। সরকার হটাতে তাদের যে শক্তি, সেটা তারা সমাবেশে ফুটাতে পারছে না। তার মূল কারণ আমাদের নেত্রীর জনপ্রিয়তা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিজেদের কারণে নির্বাচনে দুর্নাম হবে এমনটা আমরা চাই না। বৈষম্য রক্ষা করে সরকার ও বিরোধী দলের সংবাদ কাভার দিয়েছে মিডিয়া। আমি আগেও বলেছি, আমরা আমাদের প্রাপ্যটুকু চাই, অতিরিক্ত চাই না।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে বিদেশিরা এসেছেন। সবাই যে শুধু নির্বাচনের জন্য আসছেন, সেটা কিন্তু না। তারা প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েছেন। তারা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে যে আশঙ্কা, যে ধারণাটা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, এবার আর সরকারের উপায় নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা সরকারকে বিপদে ফেলবে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসবে। হয়ত সরকারকে বলে দেবে, এভাবে নির্বাচন করো। পার্লামেন্ট ভেঙে যাবে। জনমনে একটা ধারণা ছিল। শেষ পর্যন্ত কী হলো? তারা বলেছে- একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন তাদের কাম্য। বন্ধু দেশ হিসেবে তারা এ কথাগুলো বলেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ভিসানীতি আসবে- এ ধরনের কোনো উক্তি তারা (মার্কিন প্রতিনিধি দল) করেননি। সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা তারা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে তারা কিছু বলেননি। এটাই ছিল তাদের বক্তব্যের মূল কথা।