ধানের শীষ দেশের মানুষের পেটের বিষ: ওবায়দুল কাদের
২১ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,
০৫ জুলাই ২০২৩ইং,
আব্দুস সাত্তারঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধানের শীষ দেশের মানুষের পেটের বিষ হয়ে গেছে। তাই উন্নয়নের জন্য জনগণ আবারও নৌকায় ভোট দেবে।‘বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো গুজব ও ষড়যন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত। তবে উন্নয়নের জন্য এদেশের মানুষ আবারও নৌকা চায়। পেটের বিষ ধানের শীষ তারা গ্রহণ করবে না।’
বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকম-লীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গুজবে, গুঞ্জনে ও ষড়যন্ত্রে আজকে নির্বাচনী অঙ্গন ক্রমশ সংঘাতময় করে তোলার চক্রান্ত চলছে। তারা সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে, দিয়েছে। এই মুহূর্তে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো ভোটারদের কাছে যাচ্ছে না, তারা যাচ্ছে বিদেশিদের কাছে। কখন কোন প্রতিনিধি আসে, বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, ভিসানীতি দেবে—এমন স্বপ্নে নালিশের মধ্যে তারা নিমগ্ন। নালিশটা জনগণের কাছে নয়, বিদেশিদের কাছে।’
কাদের বলেন, ‘বিদেশিরা আমাদের বন্ধু। এখানে প্রভুত্বের কিছু নেই। বিএনপির বিদেশে অনেক প্রভু। প্রভুদের কাছে নালিশ করে, বন্ধুদের কাছে নয়।’ সংবিধান অনুসারেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে এমনটি জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সংবিধান ঠিক করে দিয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘বিদেশি বন্ধুরা বন্ধুর মতো থাকুন। বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে। যেভাবেই হোক ক্ষমতা পেতে হবে। আওয়ামী লীগ হারলেই কেবল বিএনপির দৃষ্টিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আরপিও সংশোধন যুক্তিসঙ্গত। বিশৃঙ্খলা হলে ১/২টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল হতে পারে, গোটা নির্বাচন কেন বাতিল হবে? এই আইনে এটা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। পৃথিবীর অন্য দেশেও একই অবস্থা। বাংলাদেশে কেন ভিন্নরকম চালু করতে হবে?
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন মানেই বিশৃঙ্খলা, জাল ভোট, ভোটকেন্দ্র দখল—এসব অপপ্রচার। বাস্তবে সদ্য অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এর প্রতিফলন ঘটেনি। সেদিক থেকে বাংলাদেশে নির্বাচন ঘিরে আশার আলো দেখতে পাই।’
কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন ও গণতান্ত্রিক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেটার বড় প্রমাণ আইন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন।
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, গুজব ছড়ান, ষড়যন্ত্র করেন তাদের এ বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচন, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নজরে রাখা দরকার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেভাবে হয়েছে—শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ও অবাধ—আগামী জাতীয় নির্বাচনও এভাবে সম্পন্ন হবে। এখানে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। শেখ হাসিনার সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।’
সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রচার চলছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ না নিয়ে বিরোধী দলগুলো অপপ্রচার করছে। প্রতিটি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। জনগণ লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিয়েছেন। বিএনপি ও তাদের বন্ধুরা নির্বাচনে যোগ না দেওয়ার পরও বড় দল হিসেবে আওয়ামী লীগ, ছোটখাটো আরও কিছু দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন। ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে এসব নির্বাচনে।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ; সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী; সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, উপপ্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ। এ ছাড়া যৌথ সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনের র্শীষ নেতারা