হেলিকপ্টারে করে আমার বাবাকে এখানে এনে কবর দিল, কেন: প্রধানমন্ত্রী

0

১৮ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,
০২ জুলাই ২০২৩ইং,
আব্দুস সাত্তারঃ
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের এই উন্নয়ন করতে পারতাম না, যদি টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়াবাসী আমার দায়িত্ব না নিতেন। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী নিজ বাড়ি থেকে হেঁটে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছান।

০২ জুলাই রোববার দুপুরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হলে দেশে বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্ব থাকত না। আওয়ামী লীগ কোনো প্রতিশোধ নেয় না। অথচ আওয়ামী লীগের বিদ্যুৎ, টেলিভিশন ব্যবহার করে টকশোতে বসে মিথ্যাচার করছে তারা।।

শেখ হাসিনা বলেন, সব সময় সত্যের জয় হয়। যেখানে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, সে নাম আবার ফিরে এসেছে। হেলিকপ্টারে করে আমার বাবাকে এখানে (টুঙ্গিপাড়ায়) নিয়ে এসে কবর দিল। কেন? যেন টুঙ্গিপাড়ায় কেউ আসতে না পারে। এ বাড়িটি সিলগালা করে রেখে দিয়েছিল। এখানে আমার চাচি ও ছোট বাচ্চাদেরকেও থাকতে দেওয়া হয়নি। এরকম অত্যাচার করেছিল আমাদের ওপর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সব জায়গায় আমি ঘুরেছি। মাইলের পর মাইল কাদামাটি মাড়িয়েছি। নৌকা, সাম্পান, ট্রলার, ডিঙি নৌকা, ভ্যান কোনটায় চড়ি নাই? সবকিছুতে আমার চড়া আছে। এভাবে বাংলাদেশ ঘুরেছি, বাংলাদেশ দেখেছি। আর সেইটা বুঝে উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এখন বাংলাদেশকে আমরা একটা জায়গায় নিয়ে এসেছি।’
তিনি বলেন: ‘আমি এমনভাবে দেশ ভ্রমণ করেছি এবং সারা দেশে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করে এই পর্যন্ত আসা। এই সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। একটি বাড়ি একটি খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার গ্রাম আমার শহর, নানা সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’

সরকার প্রধান আরও বলেন, ‘প্রতিটি গ্রাম এখন আর গ্রাম নেই। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তাঘাটের উন্নতি করেছি। এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে সবাই।’উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সরকার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে সেই টুঙ্গিপাড়ায় আসতে পারি মাত্র আড়াই ঘণ্টায়। এটা সম্ভব হয়েছে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে। সেটাও নির্মাণে বাধা দিয়েছিল, টাকা ফেরত নিয়েছিল। চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম, কোনো দুর্নীতি হয়নি। সেই থেকে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম নিজেদের অর্থে করব পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের মানুষের সহযোগিতা পেয়েছিলাম বলেই পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছিল।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল উপস্থিত ছিলেন। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *