হাতকড়া পরা আসামি পালালো পুলিশের মোটরসাইকেল থেকে
১৭ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,
০১ জুলাই, ২০২৩ ইং
জেলা প্রতিনিধি
মাদারীপুরের ডাসারে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ০১ জুলাই শনিবার দুপুরে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ওই আসামিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার পথে উপজেলার ভুরঘাটা বয়াতিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম খোকন মুন্সী (৩২)। তিনি উপজেলার কাজী বাঁকাই ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের মৃত মোতালেব মুন্সীর ছেলে। ঘটনার পরপরই পুলিশ তাঁর সন্ধানে অভিযানে নামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসামি খোকনের বিরুদ্ধে ডাসার থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে। ওই মামলার পরোয়ানাভুক্ত খোকন দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে আসামি খোকন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডাসার থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুশীল চন্দ্র একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে আসামিকে ধরতে অভিযান নামেন। আসামিকে গ্রেফতারের পর হাতকড়া পরিয়ে সুশীল তার মোটরসাইকেলে তোলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে মাঝে আসামিকে বসিয়ে পিছনে বসেন ওই কনস্টেবল। আসামি বহন করা পুলিশের মোটরসাইকেলটি ডাসার থানায় রওনা হয়ে প্রায় এক কিলোমিটার পথ সামনে বয়াতিবাড়ি এলাকায় আসলে মোটরসাইকেল থেকে হাতকড়া পড়া অবস্থায় লাফিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় খোকন। এরপর পুলিশ পিছু নিলেও তাকে ধরতে পারেনি।
জানতে চাইলে ডাসার থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুশীল চন্দ্র ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমরা এক আসামিকে খোঁজ করছি। তবে হাতকড়া নিয়ে কেউ পালিয়ে যায়নি। তা ছাড়া সে ওয়ারেন্টভুক্ত নয়। এমনি স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তার খোঁজখবর নিতে অভিযান শুরু করেছি।
এদিকে হাতকড়া নিয়ে মাদক মামলার আসামি পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কামরুল হাসান ও ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসানুজ্জামান।
ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, পালিয়ে যাওয়া ওই আসামির বাড়িতে আমরা অবস্থান করছি। তার সম্পর্কে বিস্তারিত নিচ্ছি। তাকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এর থেকে বেশি কিছু বলা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কামরুল হাসান বলেন, মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামি পুলিশের হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে গেছে। কীভাবে আসামি পালিয়ে গেছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। এ নিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যের কোনো অবহেলা থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।