৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় পিএসসির কঠোর নির্দেশনা
আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে। এ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত জারি করছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সোমবার (১৫ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের বেশ কিছু শর্ত মেনে পরীক্ষায় বসতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থী এসব শর্ত ভঙ্গ করলে তাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। যদি কেন্দ্রের মধ্যে কারো কাছে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া যায়, তাহলে তাকে বহিষ্কারসহ পিএসসি’র সকল নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হবে।
পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে বই-পুস্তক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটরসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রীসহ কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ যাবতীয় সামগ্রী তল্লাশি করে প্রার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। পরীক্ষা দিন উল্লিখিত এসব সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সকল প্রার্থীদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএস বার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে উল্লেখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪ ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে পিএসসি’র সকল নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১ আগস্ট ৪১তম বিসিএস’র প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ২১ হাজার ৫৬ জন পাস করেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ১৬৬ শূন্যপদে প্রার্থী নিয়োগ দিতে ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হয়।
এ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদে ৩২৩ জনসহ সাধারণ ক্যাডারে ৬৪২ জন, প্রফেশনাল ও টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৬১৯ জন, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৮৯২ জন, সহকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ১৩ জনসহ মোট দুই হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।