দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম অংশীদার

0

২৪ অক্টোবর, ২০২১ ইং,
০৮ কার্তিক , ১৪২৮ বঙ্গাব্দ,
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত হচ্ছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সহযোগী। শ্রিংলা গতকাল ১৯৭১ সালে যুদ্ধ বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার অন্যতম বিষয় ‘স্বারনিম বিজয় কনক্লেভ অন হিউম্যানিটেরিয়ান, পলিটিক্যাল অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাটিক ফেসেটস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম পার্টনার। ভারতের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী (পার্টনার) বাংলাদেশ।’ শ্রিংলা বলেন, দেশটি দক্ষিণ এশিয়ায় ও তার বাইরেও উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার পথে এবং সর্বদাই শৃঙ্খলা দৃঢ়তর করার ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে।

অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল এস এন ঘোরমাড়ে, মেজর জেনারেল আয়ান কর্দোজো ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দ। দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন ম পে ও বাড়িঘরে আক্রমণকে কেন্দ্র করে বিজেপির কয়েকটি উপদলের তীব্র প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা ও নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরপরই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এই তাৎপর্যময় অভিমত প্রকাশ করলেন। শ্রিংলা তার অভিমত প্রকাশকালে বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য উদ্ধৃত করেন। তিনি এমনটা করেছেন বিজেপির লোকদের কাছে পড়শি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরবার জন্যই। তিনি ইঙ্গিত করেন, অরুণাচল প্রদেশের নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চীনের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ভারত। এমন পরিস্থিতিতে ‘বিশ্বস্ত পড়শি’ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে তাকে বিরক্ত করাটা ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতরের পোষাবে না।

শ্রিংলা বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন আগের চেয়ে গভীরতর। দুই পাশাপাশি দেশের মধ্যে এমন সম্পর্ক একটি রোল মডেল।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সঞ্চারিত সুস্থিতি ও সমৃদ্ধি ‘সোনালি অধ্যায়’ সৃষ্টি করেছে। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কীভাবে ধাপে ধাপে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে সহযোগিতা দিয়েছেন, বিশ্বময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়েছেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা তার বর্ণনা দেন এবং সেই ধারা ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *