ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুঃস্বপ্ন দেখছে
বিশেষ প্রতিনিধি:
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুঃস্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দুঃস্বপ্ন দেখছে। তারা দেখছে এই বিএনপি চলে আসছে।
আজ বুধবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত আফসার আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বলেছিল ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবে। এখন মানুষকে ৭০ টাকায় চাল কিনতে হচ্ছে। টিসিবির গাড়িগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সরকার পণ্যের দাম কমাতে পারছে না।
দেশের ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১০ কোটি টাকা লোন নিলে পাঁচ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়। সরকার আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা একেবারে ফোকলা করে দিয়েছে। একেবারে পুরোপুরিভাবে লুট করে নিয়ে গেছে। প্রতিটি ব্যাংক আজকে বিপদগ্রস্ত হয়ে আছে। আপনি ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বললে দেখবেন তারা বলবে ভাই সব শেষ। আমার এক বন্ধু আছে নাম বলবো না, তিনি ব্যাংক সেক্টরে বড় একটি দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেছেন যারা ব্যাংকে টাকা রাখেন তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রতিটা ব্যাংকই প্রায় ব্যাংক ক্রাফট হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়ে গেছে।
ব্যাংক থেকে আওয়ামী লীগের লোক ছাড়া কেউ লোন পায় না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে একটা বর্গীর মতো অবস্থা। বর্গীরা যখন আসে এবং সব সম্পদ লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়, এই সরকার সেরকম একটা অবস্থা তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা একটি ভয়ঙ্কর দুঃসময় অতিক্রম করছি। এতো বড় দুঃসময় এদেশে কখনো এসেছে কি না আমার জানা নেই। এখানে আমরা যারা আছি তারা অনেকেই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে ছিলাম, আমরা যুদ্ধ করেছি। তখনো এতো দুঃসময় ছিল না। তখন আমরা চিনতাম আমাদের শত্রু কে। কাদের সঙ্গে লড়াই করে আমাদের জয়লাভ করতে হবে। তখন আমরা সবাই এক হয়ে গিয়েছিলাম। একটি লক্ষ্য ছিল আমাদের পাকিস্তানিদেরকে সরাতে হবে, জিততে হবে।
তরুণ ও যুবকদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে যাদের যুদ্ধে যাওয়ার সময়, সংগ্রাম করার সময়, যারা এই দুঃসময়কে দূর করবে। যারা এই অন্ধকারকে দূর করে আলো নিয়ে আসবে তারা কোথায়? সেই যুবক কোথায়? সেই তরুণ কোথায়? তাদেরতো সমানে আসতে হবে। তাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি সংগ্রামে অবশ্যই তাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। আমি অনেক দিন জোর দিয়ে বলছি এটা ছাড়া কোনো উপায় নেই।