যথাযোগ্য মর্যাদায় বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব সম্পন্ন
মোঃ জাকির:
আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান এটি। গৌতম বুদ্ধের শুভ জন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ এই তিন ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের সব স্থানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছেই বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত। বুদ্ধপূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে দিনটি সরকারি ছুটির দিন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দেন। বাণীতে তারা বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
আজ বুধবার, ২৬ মে, বুদ্ধপূর্ণিমা । ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই দিনে তিনি মহানির্বাণ লাভ করেন এবং ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই দিনে বুদ্ধদেব সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভও এই দিনে করেন। তিন ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের সব স্থানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছেই বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত । তাই বৈশাখ মাসের এই পূর্ণিমা ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’ নামে খ্যাত।
জেনে নিন শুভ সময় ও পূর্ণিমা শুরু ও শেষের সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট–পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ–বাংলা– ১০ জ্যৈষ্ঠ, মঙ্গলবার। ইংরেজি– ২৫ মে, মঙ্গলবার। সময়– রাত ৮টা ৩১ মিনিট। পূর্ণিমা তিথি শেষ – বাংলা– ১১ জ্যৈষ্ঠ, বুধবার। ইংরেজি– ২৬ মে, বুধবার। সময়- বিকেল ৪টে ৪৪ মিনিট।
এই দিন পড়েছে অত্যন্ত শুভ যোগ । এই শুভ মুহূর্তে যদি কোনও কাজ করা যায় তা হলে তা সফল হয় । এমনকি কোনও নির্দিষ্ট শুভ কাজ করার নির্দিষ্ট দিন না পেলে এই শুভ যোগে তা সম্পন্ন করা যায় । আজ রয়েছে সেই সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ । বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে রাত ১০টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত শিব যোগ থাকবে। এর পর সিদ্ধযোগ শুরু হবে।
এই দিন সংসারে শান্তি আনতে ও বিপর্যয় দূর করতে অনেকেই কয়েকটি টোটকা পালন করে থাকেন । এতে পরিবারের শ্রীবৃদ্ধি হয় বলে মনে করেন। এ দিন চেষ্টা করুন বাড়িতে আমিষ রান্না না করতে । পারলে সারা দিন উপবাসে থাকেন ।
উপবাস ভঙ্গ করার সময় চন্দ্রদেবের আরাধনা করে, তাঁর কাছে মনের বাসনা জানানোর পর তাঁর উদ্দেশ্যে জল অর্পণ করুন ।
অনেকেই এই দিন বাড়িতে পাঁচটা ৯ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের খাওয়ানো অত্যন্ত শুভ বলে মানেন। এ দিন সন্ধেয় ছাদের চার কোনায় চারটি সরষের তেলের প্রদীপ জ্বেলে রাখেন ।
এই দিন নিজের রাশি, লগ্ন অনুযায়ী অনেকেই রঙিন পাথর ভাল করে গঙ্গাজলে ধুয়ে ঠাকুরের কাছে রেখে পুজো করেন। তারপর টাকা রাখার জায়গায় রাখেন ।