না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান

0

চলচ্চিত্র প্রতিবেদকঃ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার সকাল ৯টার দিকে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন । দিনবদল নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত কারনে গত বুধবার ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে তাকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। অবস্থার উন্নতি হলে চিকিৎসক পুনরায় তার শারীরিক পরিক্ষা নিরিক্ষা করলে সকল রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকায় শুক্রবার বিকেলে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বাসায় ফেরার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই মৃত্যু বরন করেন তিনি।

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য।

অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক ১৯৬৫ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে তিনি আলোচনা আসেন।

২০০৯ সালে ‘এবাদত’ নামের প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন এটিএম শামসুজ্জামান।

১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এটিএম শামসুজ্জামান। ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা। এছাড়া শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *