বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান।

এক বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেয়ার অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এছাড়াও রোহিঙ্গা সংকটে পাশে থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, নতুন মার্কিন প্রশাসনের অধীনে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক আগামী দিনে আরও বাড়বে। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সম্পৃক্ততারও আশ্বাস দিয়েছেন।

সাক্ষাৎকালে তারা দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়পক্ষ মনে করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বে নতুন মার্কিন প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর দু’দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ গত এক দশকে প্রশংসনীয় আর্থসামাজিক অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও ঘনিষ্ট সহায়তা ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।

মোমেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কগুলোতে আরও বেশি মার্কিন বিনিয়োাগ চেয়ে জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আইসিটি সেক্টরে বিনিয়োাগকে অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হিসাবে বিবেচনা করতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সংরক্ষণ এবং পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিতে পারে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মোমেন বলেন, তাদের প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার হিসাবে রয়ে গেছে।

জলবায়ু সম্পর্কিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত জন কেরির সাথে তার সাম্প্রতিক টেলিফোন আলোচনার কথা স্মরণ করে ড. মোমেন ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় আসন্ন ইউএনএফসিসিসির সিওপি-২৬ চলাকালেসহ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাক্ষীয় ও বহুপক্ষীয়ভাবে কাজ করার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পর্যবেক্ষণ করেন, আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জনের কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব অর্জন করছে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *