নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রথম ভোট, ট্রাম্পকে হারালেন বাইডেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ছোট শহরের বাসিন্দারা সবার আগে ভোট দিয়ে নির্বাচনের সূচনা করে থাকেন। এটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত সংলগ্ন নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের ছোট শহর ডিক্সভিল নচ।
দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী, মধ্যরাতের পরপরই ভোট দেন সেখানকার বাসিন্দারা। ৩ নভেম্বর প্রথম প্রহরেই হেমলেট এলাকার বালসামস রিসোর্টের ব্যালট রুমে ডিক্সভিল নচের ভোটাররা ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ডিক্সভিল নচে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন। সোমবারের নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে সেখানকার পাঁচটি ভোটই জো বাইডেনের দখলে। আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি ভোটও পাননি।
নির্বাচনের দিন সবার প্রথমে ডিক্সভিল নচের বাসিন্দারা ভোট দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভোট গণনা শুরু হয়। অন্য যে কোনো জায়গায় ভোট শুরুর আগেই সেখানকার ভোটের ফলাফলও ঘোষণা দিয়ে দেওয়া হয়।
ডিক্সভিল নচের রীতি অনুযায়ী, নির্বাচনের দিন মধ্যরাতেই কেন্দ্র খোলা হয়। এরপর প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাররা বালসামস হোটেলের ‘ব্যালট রুমে’ জড়ো হন। সবার ভোট দেওয়া শেষে ব্যালট গণনা করে ভোটের ফল জানানো হয়।
তবে এ কেন্দ্রের ফলাফলের সঙ্গে অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে কে সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে যাচ্ছেন কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হতে যাচ্ছেন সে বিষয়ে কোনো আভাস পাওয়া যায় না।
ডিক্সভিল নচের কাছাকাছি মিলসফিল্ডেও মধ্যরাতের পরপরই ভোট হয়েছে। সেখানে ট্রাম্প বাইডেনকে ১৬-৫ ভোটে হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।
এই দুটি শহর তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারলেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় হার্টস লোকেশন একই পথে হাঁটেনি। সেখানকার ৪৮ জন ভোটারকে এবার মধ্যরাতের পরিবর্তে দিনের বেলায় ভোট দিতে বলা হয়েছে।
প্রতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল স্পষ্ট হতে শুরু করে ভোটগ্রহণের রাত থেকেই। পরের দিন পরাজিত পক্ষের বক্তব্যের মাধ্যমেই শিলমোহর পড়ে জনগণের রায়ে। কিন্তু করোনা সংকটের কারণে এবার অনেক কিছুই বদলে গেছে।