ধর্ষকদের দলীয় পরিচয় না দেখে গ্রেফতার করুন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0
পররাষ্ট্র মন্ত্রী : ডিবিএন

ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ ও র‍্যাবকে নির্দেশ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনার জন্য সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া এবং র‍্যাব-৯ এর কমান্ডার লে. কর্নেল আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধর্ষক যে দলের হোক, শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে। একজন গৃহবধূকে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ করে তারা কলেজকে কলুষিত করেছে। যার কারণে তাদের কোনো ছাড় নেই।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল বলেন, ধর্ষকদের দলীয় পরিচয় না দেখে অপরাধী হিসেবে দেখতে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে পুলিশ ও র‌্যাবকে নির্দেশ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। সন্ধ্যায় তাদের কলেজ থেকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের ৬-৭ জন নেতাকর্মী। এরপর দুজনকে মারধর করা হয়। একই সঙ্গে স্বামীকে আটকে রেখে তার সামনে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে রাতে ছাত্রাবাস থেকে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দু-তিনজনের বিরুদ্ধে শাহপরান থানায় মামলা করেন নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী।

মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, রবিউল হাসান, তারিকুল ইসলাম তারেক ও অর্জুন লস্কর। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। তবে তারা সবাই আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রঞ্জিত সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।

গণধর্ষণের ঘটনার পর রাতভর ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। বিকেল পর্যন্ত আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *