বিটিভি নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক পেলেন ভূয়সী প্রশংসা

0

শেখ সাজ্জাদ সদয়:

এই প্রথমবারের মত বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মিত হল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “আমার বাবার নাম”।

আজ ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল ৩টায় বিটিভির ৩ নং স্টুডিওতে এর প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র “আমার বাবার নাম”এর চিত্রগ্রাহক বড়ুয়া সুরজীত শিমন তার ক্যামেরায় চিত্রধারন শৈলীর মাধ্যমে পেলেন উপস্থিত দর্শকদের ভূয়সী প্রশংসা।

মন্ত্রণালয়ের সচিব কাম্রুন্নাহার বলেন,”চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সভাপতি হওয়ার সুবাদে আমার ছায়াছবি দেখা হয়, এই চলচ্চিত্রের চিত্রধারন আমার ভালো লেগেছে।” অনুষ্ঠান শেষে চিত্রগ্রাহক বড়ুয়া সুরজীত শিমনকে ডেকে সাক্ষাত করেন। এছাড়া সচিব এই চলচ্চিত্রের সকল অভিনেতা অভিনেত্রী কলাকুশলী ও বিটিভি কর্তৃপক্ষ সহ এই কর্মযজ্ঞের সাথে জড়িত সকলকে সাধুবাদ জানান।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “আমার বাবার নাম” এর কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রপ্ত কাহিনীকার ও বিটিভির মহাপরিচালক হারুন রশীদ (এস এম হারুন-অর-রশিদ)। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রামাণ্য) ও বিটিভির নির্বাহী প্রযোজক ফজলে আজিম জুয়েল।

এছাড়া এই চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহন,সম্পাদনা,ও রঙ বিন্যাস করেছেন বড়ুয়া সুরজীত শিমন। আবহসঙ্গীতে ছিলেন নীল কামরুল। শিল্প নির্দেশনয় ছিলেন মোহাম্মদ সেলিম।

“আমার বাবার নাম” চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন -আবুল হায়াত,দিলারা জামান,সমু চৌধুরী,বিমল চন্দ্র ব্যনারজি,জয় রাজ,শেখ বোরহান বাবু,স্বপন সিদ্দিকী(প্রয়াত করোনা যোদ্ধা),শ্যামল জাকারিয়া,নাইরুজ শিফাত,সাইফুল জার্নাল,প্রমুখ।

উক্ত চলচ্চিত্রে বাউল চরিত্রের জন্য একটি মাত্র গান রয়েছে যেটি প্লে-ব্যাক করেছেন শেখ বোরহান বাবু।

মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার বিষয়টি নিয়েই এর গল্প তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও বঙ্গবন্ধু কারাগারে ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুসহ আরও অনেকেই অপেক্ষায় থাকেন। নেতা আসবেন, নির্দেশ দেবেন কী করতে হবে এখন। প্রিয় নেতার মঙ্গল কামনায় রোজা রাখেন গ্রামের এক বৃদ্ধা। সবাই অপেক্ষায় আছেন বঙ্গবন্ধু ফিরে এসে ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন জীবন গড়ার নির্দেশনা দেবেন। অবশেষে তিনি এলেন। শামসু কমান্ডার সদলবলে অস্ত্র জমা দিলেন। বিচারের কাঠগড়ায় তোলা হল স্বাধীনতার শত্রু, ধর্ষক, লুণ্ঠন ও হত্যাকারীদের। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বন্দিশালায় নির্যাতিত অলোকা খুঁজে পায় তার নতুন জীবন।

এক ঘণ্টা দৈর্ঘ্যরে এ চলচ্চিত্রটি ঢাকা এবং নোয়াখালীর সুবর্ণচর সহ বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং করা হয়েছে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *