আমি নারী সেটা আমার অহঙ্কার! নিলীমা সরকার
নারী জায়া,
নারী জননী,
নারী স্বর্গ,
নারী ধরনী,
নারী প্রেরণা,
নারী শক্তি,
নারী প্রতিভা,
নারী ভক্তি।
আমি নারী সেটা আমার অহঙ্কার! আমি নারী হয়ে জন্মেছিলাম বলেই গর্ভে ধারন করতে পেরেছি পুরুষকে!
গর্ভে ধারন করতে পেরেছি আরেকটি নারীকে।
নিউজফিডে নারী দিবসের প্রচুর পোষ্ট দেখলাম, সবগুলো লাইন বাই লাইন পড়া সম্ভব না হলেও চোখ বুলিয়ে সারংক্ষেপ ঠিকই বুঝেছি।
কেন জানি বেশিরভাগ বিষয়েই অন্য নারীদের মতের সাথে আমার মত ঠিক সমান ভাবে যায়না, আজকের বিষয়েও তাই।
অনেক নারীরাই ” নারী” শব্দে নিজেকে দেখতে নারাজ! অনেকে লজ্জা পান, অনেকে নারী দিবস হয়েছে বলে নিজেকে ছোটো ও অসন্মান বোধ করেন,
কিন্তু আমার বেলায় বিষয় গুলি উলটো।
আমি আসলে ” নারী” হয়েছি বলে গর্বিত! নারী হয়েছি বলেই তো আমি জননী!
নারী হয়েছি বলেই তো আমার নারী পুরুষ সন্তানেরা স্বর্গের খোঁজে আমায় দেখে!
‘ নারী” সম্বোধনে কেউ কেউ এতটাই বেজার যে – যেনো পুরুষ সম্বোধন করলেই নাকের নিচে ঘোফ গজাতো আর ঠোঁটের নিচে দাঁড়ি গজাতো!
বিধাতা ভিন্ন ভিন্ন লিঙ্গে সৃষ্ঠি করেছেন বলেই ভিন্ন ভিন্ন নাম।
সৃষ্ঠির নিয়মানু্যায়ী আমাদের নারীদের যেমন কিছু সীমাবদ্ধতা আছে তেমনি পুরুষেরো সীমাবদ্ধতা আছে।
কে বড় কে ছোটো, কে উৎকৃষ্ঠ কে কিকৃষ্ঠ এইসব ভেবে অহেতুক কালক্ষেপন না করে যার যার অবস্থানে থেকে আসুন আমরা মানুষ হিসাবে সাক্ষর রাখি স্রষ্ঠার এই পৃথিবীতে।
আমরা নারীরা মোটেও ছোটো কিছু নই! মোটেও অবহেলিত নই! মোটেও করুনার পাত্র নই!
এগুলো আমাদের নিজেদের অহেতুক মনগড়া বিষয়!
কোন সন্তান মায়ের চেয়ে বাবাকে বেশি শ্রদ্ধা করে?
কোন পুরুষটি পেরেছে নারী ব্যাতিত সংসারের স্বাদ?
কোন পুরুষটি জন্মেছে নারীর গর্ভ ব্যাতিত?
যদি আমরা “মা” দিবস নিয়ে এত গর্বিত হতে পারি তবে নারী দিবসে কেন অপমানবোধ?
সমাজে নারী নির্যাতন যেমন আছে, তেমনি পুরুষ নির্যাতন ও একেবারে কম নয়, কেবল পুরুষের বলার সুযোগ রাখেনি সমাজ ও আইন, তাই সেগুলো দেখা যায়না।
আসুন নারী পুরূষের ক্ষমতা মহত্ব নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট না করে আমরা একে অপরের পরিপুরক হিসেবে ভাবি, তবেই এগিয়ে যাবে মানব সভ্যতা! তবেই এগিয়ে যাবে দেশ! তবেই সুশৃঙখল হবে পৃথিবী।
( সর্বপরি এই দিবসটিও নারীদের বিজয়েরই কথা বলে)