১৯টি যানবাহনসহ পদ্মা নদীতে ফেরি ডুবি
২৭ অক্টোবর, ২০২১ ইং,
১১কার্তিক , ১৪২৮ বঙ্গাব্দ,
স্থানীয় সংবাদদাতা:
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে রো রো আমানত শাহ নামের একটি ফেরি ১৯টি যানবাহনসহ ডুবে গেছে। ২৭ অক্টোবর বুধবার, সকালে ৫নং ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন আরিচা শাখার উপমহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে নোঙর করে আমানত শাহ নামের বড় আকারের রো রো ফেরিটি। এরপর ফেরি থেকে দুই-তিনটি যানবাহন নামতেই ফেরিটি ডুবে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, যানবাহনের চালক, হেলপার ও দুটি প্রাইভেটকারসহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী ছিল ফেরিতে। ফেরিটি ডুবে যাওয়ার সময় ২০ থেকে ২৫ জন মানুষ তৎক্ষণাৎ সাঁতরে নিরাপদে কূলে উঠে আসতে সক্ষম হন।
এ দিকে, ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে উদ্ধারকারী ফেরি ‘হামজা’। তবে উদ্ধার কাজের জন্য আরও একটি ফেরি নারায়ণগঞ্জ থেকে আসছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করে।
কুষ্টিয়া থেকে ফেরিতে আসা মোটরসাইকেল আরোহী মোহাম্মদ সুজন বলেন, দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসার পর মাঝ নদীতে হঠাৎ ফেরিতে পানি ঢুকতে শুরু করে, এ সময় ফেরি কিছুটা কাত হয়ে যায়। এরপর ফেরিটি ৫ নম্বর ঘাটে আসামাত্রই তলিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ফেরিতে থাকা গাড়িগুলো একটি অন্যটির সাথে ধাক্কা খেতে শুরু করে। পরে ভয়ে আমি মোটরসাইকেল রেখে ফেরি থেকে নদীতে ঝাপ দেই। অনেকেই ফেরি থেকে ঝাপ দেওয়ার সময়ও পায়নি। কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই ফেরিটি তলিয়ে যায়। গড়াগড়ি খেয়ে অনেকেই গাড়ির নিচে চাপা পড়ে, ততক্ষণে ফেরিটি ডুবে যায়।
এ দিকে, ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ঘাট এলাকা পর্যবেক্ষণ করছেন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সানোয়ারুল হককে আহ্বায়ক করে মোট ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।