সেই কনেকে নতুন একটি মোটরসাইকেল উপহার দেবেন তাঁর শ্বশুর
এইচ এম শাজাহান:
ফারহানার শ্বশুর আবদুর রশিদ বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে থেকেই আমার পুত্রবধূ ফারহানা মোটরসাইকেল চালাতে পারে। ছেলের সঙ্গেই সে ঢাকা শহরে থাকে। লেখাপড়ার পাশাপাশি ফারহানা ঢাকা শহরে একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। করোনার কারণে চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার চাকরিতে যোগ দেবে। ঢাকা শহরের যানজট এড়িয়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য আমি তার পছন্দের নতুন একটি মোটরসাইকেল কিনে দেব। তার মোটরসাইকেল চালানোর অনেক শখ রয়েছে।’
মোটরসাইকেল চালিয়ে গায়েহলুদের আসরে যাওয়া সেই কনেকে নতুন একটি মোটরসাইকেল উপহার দেবেন তাঁর শ্বশুর আবদুর রশিদ শেখ। পুত্রবধূর মোটরসাইকেল চালানোর শখ দেখে তাঁর (কনে) পছন্দের একটি মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার কথা জানালেন তিনি।
১৩ আগস্ট ছিল যশোরের মেয়ে ফারহানার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। তিনি সেই অনুষ্ঠানে দলবল নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যোগ দেন। কনের মোটরসাইকেল চালানোর এই ছবি ও ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। কনের নাম ফারহানা আফরোজ। বাড়ি যশোর শহরে। শ্বশুরবাড়ি পাবনার কাশিনাথপুরে। স্বামী পেশায় টেক্সটাইল প্রকৌশলী।
গায়েহলুদের আসরে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে ফারহানার শ্বশুর আবদুর রশিদ বলেন,
‘ঢাকা শহরে গিয়ে আমি দেখেছি, মোটরবাইক চালিয়ে অনেক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েরা চাকরি ও ব্যবসা করছেন। এতে আমি দোষের কিছু দেখি না। আমার পুত্রবধূও যদি সেটা করে, তাহলে এটাকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখি।