সীমিত আকারেই মুজিব শতবর্ষ উদযাপন তিতুমীর কলেজর।

0

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি (মেহেরুজ্জামান সেফু): করোনার আতঙ্কে আতঙ্কিত পুরো বিশ্ব। কোভিট – ১৯ এর আতঙ্কে আতঙ্কিত বাংলাদেশও। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। ভাইরাসটির কারনে ধর্মীয় কাজ থেকে শুরু করে সকল প্রকার জনসমাগম মূলক কাজ করা থেকে সকল জনগনকে এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

সর্বশেষ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।

কিন্তু ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন। এ দিনটিকে ঘিরে নেওয়া হয়েছিল নানান উদ্যোগ।

সবশেষ বিশ্বব্যাপী মানুষ হতে মানুষে সংক্রমিত ভাইরাসের কারনে দেশের সর্বস্তেরে মুজিব শতবর্ষের আয়োজন সীমিত আকারে করার সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজক কমিটি। বিশেষ সতর্কতার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।

আর সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আসন সংখ্যা অধিকারী সরকারি তিতুমীর কলেজ কর্তৃপক্ষও ক্যাম্পাসের সব ভবন আলোকসজ্জায় সাজানোর মধ্য দিয়ে সীমিত আকারেই উদযাপন করেছে মুজিব শতবর্ষের আয়োজন।

এ আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে অত্র কলেজের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী সাবরিনা বলেন জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকী এমন ভাবে উদযাপন করা সত্যিই একজন বাঙ্গালী হিসেবে আমাদের জন্য দুঃখ জনক। কিন্তু প্রতিটি মানুষের কথা চিন্তা করে আমাদেরকে এটা মেনে নিতে হচ্ছে।

এদিকে, সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে ১৭ই মার্চ ভোর ৬টায় ধানমন্ডি ৩২নাম্বার জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিতুমীর কলেজ জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদ মাহফিল শেষ করে বেলা ১২টা থেকে এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু হয়।

তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রিপন মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। নিজেদের বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতে পারছি। পৃথিবীতে কালে-কালে অনেক নেতা এসেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কারিশম্যাটিক নেতৃত্ব অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করেছিল। যিনি ২৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে প্রায় ১৩ বছরের মতো শুধু নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ে কারাগারে কাটিয়েছেন।কেন্দ্রীয় নির্দেশনার কারণে আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীকে বড় পরিসরে স্মরণীয় করে রাখতে না পারলেও আমাদের কর্মের মাধ্যমে তার আদর্শকে বুকে লালন করে স্মরণীয় করে রাখবো।

সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বাঙালীর কালজয়ী নেতা হিসেবে সমগ্র বাঙালীর হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বাঙালীর প্রিয়নেতা নয় বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বের মহান নেতা হিসেবে শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের চির প্রেরণার কন্ঠস্বর হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমের আদর্শ সকল প্রজন্মের কাছে সমানভাবে অনুকরণযোগ্য।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *