সবার টিকা নিশ্চিত করে পরে টিকা নেব: সেব্রিনা ফ্লোরা
সবার করোনাভাইরাস টিকা নিশ্চিতের পর নিজে টিকা নেবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
২৭ জানুয়ারি বুধবার কুর্মিটোলা হাসপাতালে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে এ মন্তব্য করেন।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘মোটামুটি যখন এনশিউর করব যে সবার টিকা নেয়া হয়েছে, তারপর সবার সঙ্গে টিকা নেব।’
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘টিকা নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে এমন কোনো কথা নেই। একটা কথা পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন, কোনো টিকায় মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। শিশুদের যখন টিকা দেয়া হয় তখন টিকার জায়গায় ব্যথা হওয়া, জ্বর জ্বর ভাব হওয়া ও গা ব্যথা করা এই ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। আমরা মনে করি, এটা এখানেও থাকতে পারে। মারাত্মক কোনো কিছু আছে কিনা সেদিকে দৃষ্টিপাত করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের টিম তৈরি আছে। অন্য ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে কি ম্যানেজমেন্ট করা লাগবে সেজন্য করোনা টিকা গ্রহীতাদের ফলোআপ করতে হবে। টিকাদান কেন্দ্র, আইইডিসিআর ১০৬৫৫, স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং ৩৩৩ এই নম্বররগুলোতে যোগাযোগ করলে পরামর্শ দেয়া হবে।’
সেব্রিনা বলেন, ‘আজ খুব সফল একটা অনুষ্ঠান হয়েছে। এটা আসলে আনুষ্ঠানিকতা। আমরা এখানে অল্প কিছু মানুষকে টিকা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের সামনে টার্গেট হচ্ছে বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল বেশ কয়েকটি হাসপাতালে আরও কিছু মানুষকে টিকা দেব। ওটা প্রথম পর্যায়ের টিকাদান, পরবর্তীতে আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করব। এর মাধ্যমে পুরো প্রসেসটা অবজার্ভ করছি। কোনো জায়গায় আমাদের পরিকল্পনায় কোনো ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কিনা সেটা দেখব।’
সেব্রিনা বলেন, ‘আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা একযোগে সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু করব। আমাদের টিকা এসেছে, অফিশিয়াল ফর্মালিটি শেষ হলে জেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। সেটা বেক্সিমকো করবে। জেলা থেকে উপজেলায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবে। নিয়মিত ইপিআই কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটা যাবে। উপজেলায় পৌঁছানোর পর টিকা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করব।’