শ্রমজীবীদের জন্য আর কোনও প্রণোদনা প্যাকেজ এখনও ঘোষণা হয়নি

0

সংগৃীহিত

দিনবদল ডেস্ক : রফতানিমুখী শিল্পের জন্য সরকার পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। কেবলমাত্র তৈরি পোশাক শিল্প ও রফতানিমুখী শিল্প মালিকরা শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য এই টাকা থেকে ঋণ পাবেন। এর বাইরে নিম্ন আয়ের মানুষ ও প্রান্তিক শ্রমজীবীদের জন্য আর কোনও প্রণোদনা প্যাকেজ এখনও ঘোষণা হয়নি। নানাখাতের মানুষ করোনা পরিস্থিতিতে প্রণোদনা প্রত্যাশা করছেন, কেউ কেউ দাবিও করেছেন। কিন্তু সমাজের একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষের কী হবে, প্রণোদনা চাওয়ার মতো কোনও প্লাটর্ফমও নেই তাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান জানান, এটি সরকারের উপরের পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ অবস্থায় রবিবার (৫ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছেন তার দিকেই তাকিয়ে আছে শ্রমজীবী মানুষ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষের জন্য নিশ্চয়ই কোনও প্রণোদনা ঘোষণা করবেন, আশা সবার।
এদিকে বিএনপির তরফ থেকে যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার দাবি উঠেছে সেখানে মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর প্রান্তিক মানুষকে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসের জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার দাবি তুলেছে দলটি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সময়ে করোনা প্রতিরোধে যে ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন তার দফা ১২ থেকে ১৫-তে নিম্ন আয়ের মানুষের তালিকা প্রস্তুত, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করার পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার ১২ নম্বরে বলা হয়েছে- দিনমজুর, শ্রমিক, কৃষক যেন অভুক্ত না থাকে। তাদের সাহায্য করতে হবে। খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠির তালিকা তৈরি করতে হবে। ১৩ নম্বরে বলা হয়েছে সোশ্যাল সেফটিনেট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ১৪ নম্বরে বলা হয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ নজর দিতে হবে। আর ১৫ নম্বরে বলেন খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, অধিক প্রকার ফসল উৎপাদন করতে হবে। অর্থাৎ এই চার দফায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শহরে বা গ্রামে একেবারে প্রান্তিক অনেক শ্রমজীবী রয়েছে তারা নিম্ন বিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির পেথে পা বাড়িয়েছিলেন। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিস্তৃত হওয়াতে মানুষের আয়ের সুযোগ তৈরি হওয়াতে দ্রুতই মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন ঘটছিল। তবে করোনার প্রভাবে এরা সবাই পিছিয়ে পড়েছেন। এখন এইসব শ্রমজীবীদেরও বেঁচে থাকার জন্য প্রণোদনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *