শৈত্য প্রবাহে আগুনের উত্তাপ নিতে অগ্নিদগ্ধের সংখ্যা বাড়ছে

0

রংপুর অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের জনজীবন। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আগুনের উত্তাপ নিয়ে গিয়ে দগ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গত একমাসে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রমেক হাসপাতালে তিনজন মারা গেছেন। ছিন্নমূল মানুষের দুর্দশাও বেড়েছে।

আজ রবিবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শুক্রবার ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শীতের হাত থেকে বাঁচতে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে একমাসে প্রায় অর্ধশত মানুষ আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ পর্যন্ত রমেক হাসপাতালে দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে আসা ৩ জন নারী মারা গেছেন।
আজ রবিবার রমেক হাসপাতালে শীতজনিত ১৮ জন দগ্ধ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রকোপ। গত কয়েকদিনের তুলনায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে কুয়াশা ও শীতের কারণে আলু ক্ষেতে লেটব্রাইট রোগের দেখা দিয়েছে। বীজতলা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ক’দিন ধরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না মানুষজন। প্রচণ্ড শীতে হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, রবিবার রংপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ ধরনের আবহাওয়া আরও দু-একদিন থাকতে পারে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *