শেখ হাসিনার উদারতায় খালেদা জিয়ার শাস্তি স্থগিত রয়েছে: কাদের
১০ আষাঢ় ১৪২০ বঙ্গাব্দ,
২৪ জুন ২০২৩ ইং,
আব্দুস সাত্তারঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি রাজনীতি পরশ্রীকাতরতা এবং দ্বিচারিতায় পূর্ণ উল্লেখ করে বলেছেন, সরকার বেগম জিয়াকে আটক করে রাখেনি। তিনি আদালতের রায়ে শাস্তি ভোগ করছেন বরং জননেত্রী শেখ হাসিনা উদারতার পরিচয় দিয়ে নির্বাহী আদেশে তার শাস্তি স্থগিত রেখেছেন এবং তাকে বাসায় অবস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিএনপিই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার হরণে বিএনপি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। যারা দেশকে ভঙ্গুর এবং পরনির্ভরশীল করে রেখে গিয়েছিল, তারা আজ দেশের অর্থনৈতিক অর্জন নিয়ে সমালোচনা করে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচারের ফানুস উড়াচ্ছে। এদেশের অর্থনীতিকে আজ শক্তিশালী কাঠামোর ওপর দাঁড় করিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজ বিশে^ অর্থনৈতিকভাবে এক উদীয়মান শক্তি। দেশের এই অর্জন-সমৃদ্ধি তারা কখনও মেনে নিতে পারে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশে জিয়া পরিবারের গল্প মানুষ জানে। ভাঙ্গা স্যুটকেসের গালভরা গল্প মানুষ ভুলে যায়নি। ভাঙ্গা স্যুটকেস থেকে বিলাসবহুল জাহাজ বেরিয়ে আসতেও দেখেছে জনগণ। বিএনপি শাসনামলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। বিদেশে পাচারকৃত জিয়া পরিবারের অর্থের কিছু অংশ দেশে ফেরতও আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন আত্মদহনে দগ্ধ। ভুল রাজনীতির খেসারত দিচ্ছে তারা। স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দল হয়েও মনোজগতে তারা এখনও পরাধীনতায় বিশ্বাসী। পাকিস্তানি ভূত তাদের মাথা থেকে যায়নি। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশী দূতাবাসে ধরনা দিচ্ছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। যাদের জন্ম এবং বিকাশ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা সে বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। এটাই সত্যি। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের পাশে আছে, জনগণের পাশেই থাকবে।