লকডাউনকে ফাঁকি দেয়া গেলেও করোনাকে ফাঁকি দেয়া যায় না
বিশেষ প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘লকডাউনকে ফাঁকি দেয়া গেলেও করোনাকে ফাঁকি দেয়া যায় না। তার প্রমাণ অতিসংক্রমণ এবং মৃত্যুর উচ্চহার।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার এই উচ্চ সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও ঈদ উৎসবের যে সুযোগ করে দিয়েছেন, তার সদ্ব্যবহার করার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
তবে কেউ যেন দায়িত্বহীনভাবে ফেরিঘাট, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল এবং কোরবানির পশুর হাটে ভিড় তৈরি না করে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তা না হলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে আসবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জনগণ ঠিকমত মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউনের প্রয়োজন হয় না। আর স্বাস্থ্যবিধি না মেনে উদাসীনতা দেখালে লকডাউন অর্থহীন হয়ে পড়ে।’
তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ এখন শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। একটা সময় অনেকে মনে করতেন গ্রামের মানুষের করোনা হবে না, এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে ভাইরাসের সংক্রমণ এখন গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই সংক্রমণ আগের দিনের সংখ্যা অতিক্রম করে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় মাস্ক পরার পাশাপাশি কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবীসহ দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলকে সচেতনতা বাড়ানো জন্য ক্যাম্পেইন পরিচালনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘হাট-বাজারে বা চায়ের দোকানে জটলা তৈরি না করে সতর্কভাবে চলাফেরা এবং মাস্ক পরিধানের মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।’