রিজেন্টের সাহেদ আবার ৬ দিনের রিমান্ডে
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে এবার পল্লবী থানার প্রতারণার মামলায় ছয় দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে পল্লবী থানার প্রতারণার মামলায় সাহেদকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করা হয়। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে সাহেদের ছয় দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র বলছে, এ নিয়ে বিভিন্ন মামলায় সাহেদের ৬১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। গত ৬ জুলাই র্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ভুয়া করোনা রিপোর্ট জব্দ করে। সেখান থেকে হাসপাতালের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে র্যাব বাদী হয়ে হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের নামে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করে। সেই মামলায় গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
পরদিন ১৬ জুলাই ওই মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। সেদিন সাহেদের কোমরে মোটা দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করা হয়। ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয় গত ২৬ জুলাই। সেদিন চার মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই দিন সাতক্ষীরার একটি অস্ত্র মামলায় ভার্চ্যুয়াল শুনানি নিয়ে সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়া দুদকের মামলায় সাহেদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বিভিন্ন সূত্রানুসারে, সাহেদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মামলা রয়েছে ৫০টির বেশি। ১০ বছর আগের একটি মামলায় ঢাকার আদালত তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। সেই মামলায় সাহেদ কখনোই গ্রেপ্তার হননি। আরেকটি মামলায় ২০০৯ সালে সাহেদ গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে ছাড়া পান।