রাত থেকে শুরু যৌথবাহিনীর অভিযান !
মঙ্গলবার ,
১৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং,
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :
রাত থেকে যৌথবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-গোলাবারুদ-মাদক পেলেই আটক । ১ সেপ্টেম্বর রোববার, রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে। থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। ৩ সেপ্টেম্বর ছিল অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে লুট ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে যৌথ বাহিনী।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে চায়না ফাইফেল উদ্ধার ৮০৯টি, উদ্ধার হয়নি ৩৩৮টি। বাংলাদেশি রাইফেল উদ্ধার ৯টি, উদ্ধার হয়নি ১টি। এসএমজি উদ্ধার ১৮৫টি, উদ্ধার হয়নি ৬৬টি। এলএমজি উদ্ধার ২১টি, উদ্ধার হয়নি ১১টি। পিস্তল উদ্ধার ৭০৭টি, উদ্ধার হয়নি ৮৪৯টি। ৯x১৯ মি.মি. এসএমজি/এসএমটি উদ্ধার ৩২টি, উদ্ধার হয়নি ১টি। শটগান উদ্ধার ১৫৬৮টি, উদ্ধার হয়নি ৬২২টি। গ্যাস গান ৪২৫টি উদ্ধার, উদ্ধার হয়নি ১৬৮টি। টিয়ার গ্যাস লাঞ্চার (সিক্স শট) উদ্ধার ৬টি, উদ্ধার হয়নি ৮টি এবং সিগন্যাল পিস্তল উদ্ধার ১টি, উদ্ধার হয়নি ২টি।
বিভিন্ন বোরের গুলি উদ্ধার হয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮২টি, উদ্ধার করা যায়নি ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি। টিয়ারগ্যাস শেল উদ্ধার ২২ হাজার ১৩৯টি, উদ্ধার করা যায়নি ৮ হাজার ৯০৫টি। টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড উদ্ধার ৭০৪টি, উদ্ধার করা যায়নি ৭৫১টি। সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার ২ হাজার ১১৬টি, উদ্ধার সম্ভব হয়নি ২ হাজার ৫৭৬টি। কালার স্মোক গ্রেনেড উদ্ধার ২১৩টি, উদ্ধার করা যায়নি ৭৮টি। মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড উদ্ধার ১৮টি, উদ্ধার করা যায়নি ৩৭টি। ফ্ল্যাশ ব্যাং গ্রেনেড উদ্ধার ৫৩৩টি, উদ্ধার করা যায়নি ৩৬০টি। গ্যান্ড হেল্ড টিয়ার গ্যাস স্প্রে (ক্যানিস্টার) উদ্ধার ৯৪টি, উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ৮৩টি। এদিকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে মাঠে নামছে যৌথ বাহিনী।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যৌথ অভিযানে থাকছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্টগার্ড এবং র্যাব।