রাজনীতির হালচাল
মধ্য জুলাইয়ে বিএনপি নামছে এক দফার আন্দোলনে

0

১৪ আষাঢ় ১৪২০ বঙ্গাব্দ,
২৮ জুন ২০২৩ ইং,
আব্দুস সাত্তার:

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিলের আগেই দাবি আদায়ের ফয়সালা করতে চায় বিএনপি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে নভেম্বরেই তপশিল ঘোষণা করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই অনুযায়ী সেপ্টেম্বরেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলন গড়তে চায় বিএনপি। লক্ষ্য অর্জনে পবিত্র ঈদুল আজহার পর মধ্য জুলাইয়ে ঢাকায় বড় ধরনের সমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ রূপরেখা ও এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে দলটি। দাবি আদায়ে চলমান জনসম্পৃক্ত কর্মসূচিকে ধাপে ধাপে চূড়ান্ত আন্দোলনে রূপ দিতে চায় বিএনপি। একই সঙ্গে ১৯৯১ সালের আদলে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখার খসড়া প্রণয়নে কাজ শুরু করেছে বিরোধী দলটি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা জোরদার করবে তারা। আন্দোলন, নির্বাচনে প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন বিষয়ে কাজ করছে বিএনপি। পাশাপাশি সরকারের অবস্থানও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে পাল্টা কৌশল গ্রহণ করবে দলটি। অবশ্য এবারের চূড়ান্ত আন্দোলনে আর পিছু হটবে না বলে জানিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। মুখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বললেও সভা-সমাবেশে হামলা হলে পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। এখন থেকে প্রতিটি মিছিল-সমাবেশে কর্মীদের ‘নিরাপত্তার’ কৌশল হিসেবে লাঠির মাথায় দলীয় ও জাতীয় পতাকা এবং ফেস্টুন বহন করতে নির্দেশনা দিয়েছে হাইকমান্ড।

অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করবেন। ঈদের পর চলমান আন্দোলন আরও বেগবান হবে। সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে সেমিনার করা হয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, সমমনা দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ রূপরেখা চূড়ান্তের কাজ চলছে। শিগগিরই তা ঘোষণা করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এক দফা আন্দোলন ও যৌথ রূপরেখা ঘোষণার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করতে চাই। সরকার দাবি না মানলে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচিতে চলে যাব। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ছয় মাস বাকি। এ সময়সীমা মাথায় রেখে আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে চূড়ান্ত আন্দোলন গড়তে হবে বিএনপিকে। সে লক্ষ্যে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। এবারের ঈদেও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ নিজ এলাকায় দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে আন্দোলনের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। শক্তিশালী ও কঠোর আন্দোলন গড়তে দলের নেতাকর্মীর মধ্যে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

দলীয় সূত্র জানায়, ঈদুল আজহার পর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে হবে যুগপৎ আন্দোলনের খসড়া যৌথ রূপরেখা তৈরির কমিটিগুলোর বৈঠক। ওই বৈঠকেই বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের রূপরেখা নিয়ে মতপার্থক্য নিরসন করার কথা রয়েছে। বৈঠকে রূপরেখা ঘোষণার পদ্ধতি এবং দিনক্ষণও চূড়ান্ত করা হবে।

বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ সূত্র জানায়, মধ্য জুলাইয়ে যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ রূপরেখা ঘোষণা করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এক মঞ্চ থেকে নয়, সমমনা জোট ও দলগুলো পৃথক মঞ্চ থেকেই ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করবে। একই সঙ্গে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে। যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেওয়া হবে। কর্মসূচির মধ্যে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, পদযাত্রা, লংমার্চ ও রোর্ডমার্চ, সব শেষে ঢাকামুখী ‘চল চল ঢাকা চল’ কর্মসূচি থাকবে। নির্বাচন কমিশন, সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবন ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দেওয়ার ভাবনাও রয়েছে দলটির।
নির্দলীয় সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনকে ধাপে ধাপে এক দফা আন্দোলনে নিয়ে যেতে চায় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। তারুণ্যের সমাবেশ ও শ্রমজীবী মানুষের পদযাত্রা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে, গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য দল পৃথক কর্মসূচি পালন করছে। আগামী ৯ জুলাই সিলেট, ১৭ জুলাই খুলনা এবং ২২ জুলাই ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, ফরিদপুরসহ ঢাকায় বড় ধরনের তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপির সহযোগী তিন সংগঠন– ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। পাশাপাশি দলটির অঙ্গ সংগঠন কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতীদল ও মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে ‘দেশ বাঁচাতে মেহনতি জনতার পদযাত্রা’ শীর্ষক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রমজীবীদের নিয়ে পদযাত্রা করবে নোয়াখালীতে। এ ছাড়া দিনাজপুরে ১৯ জুলাই, রাজশাহীতে ২৮ জুলাই, যশোরে ৫ আগস্ট, হবিগঞ্জে ১২ আগস্ট, বরিশালে ১৯ আগস্ট পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চ ও আগামী ১৯, ২০ ও ২১ জুলাই চট্টগ্রামের উদ্দেশে রোডমার্চ করবে। এর মধ্যে ১৭ জুলাই বরিশালে সমাবেশ করবে তারা। বিএনপির সমমনা ১২ দলীয় জোটসহ অন্য দলগুলো পৃথক কর্মসূচি পালন করছে। সমমনা জোটভুক্ত না হলেও বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে মিল রেখে পৃথক কর্মসূচি দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি সমকালকে বলেন, ভোটাধিকারের দাবি আদায়ের আন্দোলনের মুখে সরকার পিছু হটবে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে সাকি বলেন, যৌথ রূপরেখায় কিছু মতপার্থক্য থাকলেও তা নিরসন করা হবে। শিগগিরই রূপরেখা চূড়ান্ত করে ঘোষণার কাজ চলছে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দাবির পাশাপাশি নিজেদের প্রস্তাবিত রূপরেখার খসড়া তৈরির কাজও শুরু করেছে বিএনপি। এরই মধ্যে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও দলের নীতিনির্ধারক নেতাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি খসড়া রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু করেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও গণমাধ্যমের সঙ্গে রূপরেখা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে বিএনপির এক নেতা বলেন, ১৯৯১ সালের আদলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা তৈরি করছে বিএনপি। বর্তমান সংবিধানের মধ্যে থেকেও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব। এরই মধ্যে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে সেমিনারে আইনি ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। সংকট নিরসনে সরকার ইচ্ছা করলেই সংবিধানের মধ্যে সমাধান সম্ভব বলে জানান তিনি।
বিএনপি নেতারা জানান, বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে ছিল আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী দেশ এবং সংস্থাগুলোর সমর্থনে। এবার আর সেই সমর্থন তারা পাবে না। বিদেশিরাও বুঝে গেছে যে, বাংলাদেশের মানুষকে এভাবে আর বিনা ভোটে সরকার চাপিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই তারাও এখন নীরবতা পালন করছে।

বিএনপির আন্তর্জাতিক উইং সূত্র জানায়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রভাবশালী বন্ধু রাষ্ট্র এবং সংস্থাগুলোর সমর্থন আদায়ে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এরই মধ্যে তাদের তৎপরতার কারণেই প্রভাবশালী দেশগুলোর কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে বক্তব্য ও বিবৃতি আসছে। শিগগির বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফর করতে পারে। একই সঙ্গে ঢাকার বিদেশি দূতাবাসগুলোকে সভা-সমাবেশে বাধা, নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নামের তালিকাও পাঠাতে শুরু করেছে।
দলীয় সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যে সম্ভব নয়– দেরিতে হলেও এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশ্বাস করেছে। সে জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দানকারীদের ভিসা না দেওয়ার নীতি ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য প্রভাবশালী দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংস্থাও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যান দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারিকে চিঠি দিয়েছেন। এ বিষয়গুলো বিএনপির দাবি আদায়ে ‘সহায়ক’ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন দলটির নেতারা।

এ বিষয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক উইংয়ের প্রধান ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সমকালকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না– এটি সব বিদেশিই জানেন। বিএনপি কাউকে কিছু বলার প্রয়োজন নেই, প্রতিটি দেশই নিজ নিজ দূতাবাসের মাধ্যমেই সব খবর পায়। তাঁরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে তাদের অবস্থান নিজ থেকেই ব্যক্ত করছেন বলে জানান তিনি।
বিএনপি সূত্র জানায়, আন্দোলন ও নির্বাচনে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থানে আনাই দলটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ লক্ষ্যে দলের নীতিনির্ধারক মহল কীভাবে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থানে আনা যায়– সে লক্ষ্যে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে কিছুটা ‘ইতিবাচক’ প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তাঁরা। পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের জাতিসংঘের শান্তি মিশনে না নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর চাপও কিছুটা ‘ভূমিকা’ রাখবে বলে আশা করছেন দলটির নেতারা।

বিএনপির নীতিনির্ধারক কয়েকজন নেতা জানান, তাঁদের পক্ষ থেকেও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভিন্ন মাধ্যমে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখলে ভবিষ্যতে পটপরিবর্তন হলেও কোনো সমস্যা হবে না। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে বিরোধী দলকে গুম, খুন, গায়েবি মামলা দিয়ে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তাঁরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন। এরই মধ্যে তাদের তালিকাও করছে বিএনপি।
দলীয় সূত্র আরও জানায়, সরকারের ভূমিকাকেও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিএনপি। আগামী দিনের সংকট মোকাবিলায় সরকার কী কৌশল নিচ্ছে– তার পাল্টা কৌশল গ্রহণের চেষ্টা করছে তারা। সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করলেও শেষ পর্যন্ত সংলাপের আহ্বান আসতে পারে বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। তবে সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা ছাড়া কোনো সংলাপে আর যাবে না বিএনপি। অতীতের দুটি নির্বাচনের আগে সংলাপের তিক্ত অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *