মন্ত্রী-সচিবরাই নয়, আমার সন্তানদেরও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে
দিনবদল ডেক্স: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে শুধু তৎকালীন মন্ত্রী-সচিব বা অন্যান্য কর্মকর্তা নয়, আমার ছেলে-মেয়েদেরও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর বিষয় নিয়ে আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকেও যুক্তরাষ্ট্রের হোম অফিস থেকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সত্যের জয় একদিন হয় তা প্রমাণ হয়েছে। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠানিক এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী অারও বলেন, ড. ইউনূস যেন অারো কিছুদিন গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থাকতে পারেন সেজন্য তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন আমাকে ফোন করেছিলেন। তখন অামি তাকে বলেছিলাম, ওনার বয়স তো ষাট বছর হয়ে গেছে। সুতরাং নিয়ম অনুযায়ী ড. ইউনূস আর গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থাকতে পারেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর বিষয়ে বিশ্বব্যাংক তখন একের পর এক শর্ত দিয়েছে। তখন বলা হয়েছে, একে বাদ দিতে হবে, ওকে বাদ দিলে কোনো অসুবিধা হবে না। তাদের এসব কথার কারণে আমাদের অনেক সময় নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাদের কথায় অাসলে তখন সিদ্ধান্তগুলো নেয়া সঠিক হয়নি। তিনি বলেন, এর আগে আমি প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে তাকে চারশ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল। এছাড়া গ্রামীণফোনের কাজ পাওয়ার জন্য আমাদের সরকার ড. ইউনূসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এত কিছুর পরও ইউনূস সাহেব অামাদের সম্পর্কে নানা উল্টাপাল্টা কথা বলেছেন। এ কারণে একটা সময় এসে মার্কিন অ্যাম্বাসেডরকে পর্যন্ত আমার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেয়নি।
অালোচনা শেষে ইয়াফেস ওসমান পদ্মা সেতু ও বিশ্বব্যাংক নিয়ে চার লাইন কবিতা শোনান প্রধানমন্ত্রীকে।