ভৈরব সেতু সংলগ্ন ড্রেন ও ল্যাম্পপোস্ট অকেজো,দেড়শতাধিক পরিবারের দুর্ভোগ।
০৬ আগস্ট শুক্রবার, ২০২১ইং,
২২ শ্রাবণ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ।
মিঠুন দত্ত :
অভয়নগর,যশোর:
যশোরের অভয়নগরে ভৈরব সেতুসংলগ্ন মশরহাটি এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেতু বরাবর নির্মিত পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ও ভৈরব ব্রিজের ল্যাম্পপোস্ট।
জানা গেছে,সেতু নির্মানের সময় ড্রেনে কনস্ট্রাকশনের অনেক ময়লা ড্রেনটিতে পড়ে ভরাট হয়ে যায়। যার সঠিক ব্যবস্থাাপনা করা হয়নি। যার জন্য সামান্যবৃষ্টিতেই এলাকায় দেখা যায় জলাবদ্ধতা। আর ব্রীজের ল্যাম্পগুলোর অধিকাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্রীজের উপর সন্ধারপর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
গত ২২ নভেম্বর ২০২০ইং তারিখে অভয়নগরের মানুষের কাঙ্খিত ভৈরব সেতু উদ্বোধন হয়। সেতুর নিচে ওয়াক ওয়ের পাশ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরি করা হয় ড্রেন। যার দৈর্ঘ্য ৩৫০ মিটার, গভীরতা ৫ ফিট আর প্রসস্থা দুই ফিট। আজ সেই ড্রেনটি হয়েছে এলাকাবাসীর কাল হয়ে দাড়িয়েছে। গতকাল বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত ড্রেনটির ভিতর কনস্ট্রাকশনের বালু, সিমেন্ট, ইট পড়ে ভরে আছে। এছাড়া বিভিন্ন ময়লা পড়ে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। ভৈরব নদে মেশার আগেই কাজ শেষ করা হয়েছে। প্রায় দুইশত মিটার এলাকায় ড্রেন নেই।
ব্রিজসংলগ্ন উপজেলার মশরহাটি গ্রামের মো: এশারত আলি বিশ্বাস দিনবদল নিউজকে জানান, ভৈরব ব্রিজের সাথে পানি নিষ্কাশনের জন্য যে ড্রেন করা হয়েছে তা দিয়ে পানি সরছে না। কারণ সেতু তৈরি হওয়ার পর ড্রেনে কনস্ট্রাকশনের অনেক ময়লা ড্রেনটিতে পড়ে ছিল। যার সঠিক ব্যবস্থাাপনা না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই দেড়শতাধিক বাড়িঘরে পানি উঠে যাচ্ছে। তা আর সাতআট দিনে সরছে না। এতে করে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি বাড়েছে তার পাশাপাশি দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। যাতে করে আমাদের চরম র্দর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা আজহার লস্কর জানান, এই দুর্ভোগের বিষযটি ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াদুদ শেখকে জানালে তিনি বলেন ড্রেন পরিস্কার করা আমার দায়িত্ব না, আমি পারলে মশার ওষুধ দিয়ে যাব। তিনি আরো জানান, ব্রিজ উদ্বোধনের কিছুদিনের মধ্যেই ব্রিজের ৬০ ল্যাম্প পোষ্টের মধ্যে অধিকাংশই অকেজো হয়ে পড়ে যার কারণে রাতে প্রায়ই ব্রিজের উপর ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে।
এলাকার পৌর কাউন্সিলর আঃ গাফফার বিশ্বাস বলেন, ল্যাম্পপোস্ট ও ড্রেনটি আমার এলাকায় হলেও ড্রেন পরিস্কার ও ল্যাম্পগুলো মেরামতের দায়িত্ব এলজিডির। আমি দ্রুত এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অফিসে অভিযোগ দেব। এ বিষয়ে ব্রিজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাইয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ল্যাম্প পোস্টলো অকেজো হয়েছে কথাটি সত্য। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি তারা ব্যবস্থাা করবেন বলেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শ্যামল কুমার বসু বলেন, ড্রেন পরিষ্কার করার দায়িত্ব ব্যবহারকারীদের। ওখানে ব্যবসায়ীরা ট্রাকের বালু ও মাটি ফেলে ড্রেন ভরাট করে ফেলছে। আমাদের জনবল নাই। আর ল্যাম্পগুলো দেখার দায়িত্ব আমাদের হলেও আমরা টাকার অভাবে এখনও পর্যন্ত কারেন্টবিল শোধ করতে পারিনি। আমাদের কাছে বরাদ্দও নেই। ফলে আমরা এগুলো সংস্কার করতে পারিনি। বরাদ্দ পেলে ঠিক করে দেব।