বিষ পাওয়া গেলো ট্রাম্পকে পাঠানো চিঠিতে

0

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে হোয়াইট হাউসে পাঠানো একটি চিঠিতে বিষাক্ত পদার্থ রাইসিন মেশানো ছিল অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ওই চিঠি হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর আগেই জব্দ করা হয়েছে।

২০ সেপ্টেম্বর বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে আসা যেকোনো চিঠি ভেতরে পৌঁছানোর আগেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেই রাইসিন মেশানো চিঠির বিষয়টি ধরা পড়ে। ক্যাস্টর ওয়েল তৈরি হয় যে বীজ থেকে, সেই বীজ থেকে বিষাক্ত রাইসিন তৈরি হয়। এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস বিষয়টি তদন্ত করছে। ওই চিঠি কোথা থেকে পাঠানো হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। ।

এফবিআই ১৯ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিঠি নিয়ে এই মুহূর্তে আর কোনো ধরনের ঝুঁকি বা হুমকি সংস্থাটি দেখছে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকারীদের ধারণা, চিঠিটি কানাডা থেকে এসেছে। সন্দেহভাজন একজন নারী ওই চিঠি কানাডা থেকে পাঠিয়েছেন।

দ্য রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) ১৯ সেপ্টেম্বর জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসে রাইসিন মেশানো চিঠি পাঠানোর বিষয়টি তদন্তে তারা এফবিআইয়ের সঙ্গে কাজ করছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঘটনা তদন্তে নিউইয়র্কের সহযোগিতায় ওয়াশিংটনের জয়েন্ট টেররিজম টাস্কফোর্স নেতৃত্ব দিচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছেন, রাইসিন মেশানো চিঠি পাঠানোর সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। যদিও তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই এখনই হলফ করে কিছু বলা যাবে না।

রাইসিন কোনোভাবে খেয়ে ফেললে, নিশ্বাস বা ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে মাথা ঘোরা, বমি ও অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ শুরু হয়। একপর্যায়ে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকে। কতটুকু পরিমাণ রাইসিন শরীরে প্রবেশ করেছে তার ওপর নির্ভর করে ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মানুষের মৃত্যু ঘটে

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, রাইসিন কোনোভাবে খেয়ে ফেললে, নিশ্বাস বা ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে মাথা ঘোরা, বমি ও অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ শুরু হয়। একপর্যায়ে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকে। কতটুকু পরিমাণ রাইসিন শরীরে প্রবেশ করেছে তার ওপর নির্ভর করে ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মানুষের মৃত্যু ঘটে। রাইসিনের বিষক্রিয়া প্রতিরোধে কোনো প্রতিষেধক নেই। রাইসিন দিয়ে তৈরি গুঁড়া ও স্প্রে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *