বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে ঘনিষ্ঠ মিত্র জামায়াত : কাদের
১৭ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,
০১ জুলাই ২০২৩ইং,
আব্দুস সাত্তারঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ঐতিহ্যগতভাবেই গোলাম আযমের দল জামায়াতে ইসলামী বিএনপির ঘনিষ্ঠ মিত্র।
ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিল এবং তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গোলাম আযমকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত একাকার হয়ে সরকার গঠন করে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধুলিস্যাৎ করে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময় বেগম খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বিচার বন্ধে আন্দোলন করেছে। বিএনপির শাসনামলে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতি বাংলাদেশে জোরদার হয় এবং জামায়াত ইসলামের ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়। একইসঙ্গে বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশে ফুলেফেঁপে বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সচেতন মানুষ মাত্রই জানে জামায়াতে ইসলামী হল বিএনপির বি-টিম।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে ভোট না দেয়ার অপরাধে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেয়া, হরতালের নামে আগুনসন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা মেরে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারা, গাছ কাটা, ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেয়ার যে ইতিহাস বিএনপি সৃষ্টি করেছিল সেটা বেশি দিন আগের নয়। বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেও দেশের মানুষ বিএনপির সেই সহিংসতার কথা ভুলে যায়নি। আসলে নিজেদের এসব অপকর্ম আড়াল করতেই বিএনপি নেতারা সবসময় অপপ্রচার চালায় এবং সরকারি দলের লোকেদের ওপর দোষ চাপিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার উপলক্ষ খোঁজে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্রিকসের যোগদান নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য অজ্ঞতা ছাড়া কিছু নয়। পাশ্চাত্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেও ভারত ও আফ্রিকা ব্রিকস ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছ থেকে দেশের জন্য আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। অনুরূপভাবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা সরকার ব্রিকস-এ যোগ দিচ্ছে। বিএনপির মতো বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন না।