বাবা হারালেন অভিনেতা আফরান নিশো

0

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন অভিনেতা আফরান নিশোর বাবা মো. আবদুল হামিদ মিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার লুৎফুল কবির জানান, ফুসফুসে ক্যানসারজনিত রোগে মারা গেছেন নিশোর বাবা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও লিভার–সংক্রান্ত শারীরিক জটিলতায়ও ভুগছিলেন। এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন আফরান নিশো, তাঁর বড় ভাই এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হামিদ মিয়া টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সদস্য ও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অভিনেতা আফরান নিশো প্রথম আলোকে জানান, হাসপাতালের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাবার মরদেহ নিয়ে এরই মধ্যে পুরো পরিবার টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা করেছেন। বাদ আসর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের কেন্দ্রীয় কবরস্থান ছাব্বিশায় বাবারই বলে যাওয়া জায়গায় তাঁকে সমাহিত করা হবে।

এদিকে নিশোর সঙ্গে নিয়মিত কাজ করা নাট্যনির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান জানান, এক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন মো. আবদুল হামিদ মিয়া। তাঁকে ২০–২২ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকেই তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। আরিয়ান আরও জানান, নিশোর বাবা ভর্তি ছিলেন হাসপাতালের নন-কোভিড ইউনিটের আইসিইউতে। তাঁর দেহে করোনা শনাক্ত হয়নি।

এ অভিনেতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন মো. আবদুল হামিদ মিয়া। সেখান থেকেই ক্যানসার একসময় পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি টাঙ্গাইল ও ঢাকা—দুই জায়গায়ই থাকতেন। আফরান নিশো অভিনীত একাধিক নাটকের নির্মাতা কাজল আরেফিন জানান, ক্যানসারের পাশাপাশি নিশোর বাবার কিডনিতেও সমস্যা ছিল। এ ছাড়া তিনি লিভারের রোগেও ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *