বাইডেন-শি জিনপিংয়ের বৈঠকের আগে তাইওয়ান নিয়ে লড়াই
জো বাইডেন-শি জিনপিং শীর্ষ বৈঠকের আগে তাইওয়ান নিয়ে সুর চড়িয়েছে দুই দেশই। আজ সোমবার ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
তার আগে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন চীনকে সাবধান করে জানিয়ে দিলেন, তারা যেন তাইওয়ানের উপর সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ না দেয়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-কে ব্লিংকেন মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, তাইওয়ান প্রণালীতে শাস্তি ও স্থায়িত্ব চায় আমেরিকা।
ব্লিংকেন বলেছেন, তাইওয়ান প্রণালী নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পথে তার সমাধান করুক চীন। সেটাই তাইওয়ানের জনগণের ইচ্ছা ও স্বার্থকে রক্ষা করবে।
সম্প্রতি আমেরিকা ও চীনের মধ্যে তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। চীনের যুদ্ধবিমান সমানে তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকে পড়ছে। তা নিয়ে আমেরিকা কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তার প্রতিবাদ করেছে চীন। তারা জানিয়েছে, আমেরিকা ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ের দাদাগিরি করতে চায়।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও আমেরিকাকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, তারা যে কাজ করছে, তাতে তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি বিঘ্নিত হবে। শেষপর্যন্ত তা আমেরিকার পক্ষে বুমেরাং হয়ে ফিরবে।
বেইজিং দাবি করে, তাইওয়ান তাদের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আমেরিকাও সরকারিভাবে তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় না, কিন্তু ১৯৭৯ সালে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদিত আইন অনুসারে আত্মরক্ষার জন্য তারা তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহ করে। সম্প্রতি আমেরিকা বারবার চীনের আগ্রাসী মনোভাবের নিন্দা করে তাইওয়ানকে সমর্থন করেছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় বাইডেন-শি’র মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। সেখানে তাইওয়ান, মানবাধিকার, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হতে পারে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রতি রীতিমতো কড়া নীতি নিয়ে চলেছিলেন। বাইডেন আসার পরেও আমেরিকার চীন-নীতি খুব একটা বদলায়নি। বাইডেন প্রশাসন চীনের উত্থানকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।