বাংলাদেশকে এক কোটি টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ইইউ
শুক্রবার, ১৯ ভাদ্র ১৪২৮ বঙ্গাব্দ,
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাংলাদেশকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনজি টিরিংক।
আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্ক: ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে মূল বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের জন্য এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আমরা। তবে আমরা জানি, এটা পর্যাপ্ত নয়। দরিদ্র দেশগুলোকে সহযোগিতার ক্ষেত্রে ইইউসহ উন্নত দেশের উদ্যোগহীনতার সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে টিকা নিয়ে তাদের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি।
অনেক দেশের হাহাকারের মধ্যে উন্নত দেশগুলো টিকা জমিয়ে রেখে পরে মেয়াদোত্তীর্ণের কারণে ফেলে দেওয়ায় সম্পতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছিলেন, উন্নত দেশ যারা, তারা সব টিকা নিয়ে বসে আছে, আর ব্যবহারও করতে পারে না, ফেলে দিচ্ছে। এটা কী ধরনের ইথিক্যাল অ্যান্ড মর্যাল ভ্যালুজ?
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে টিকার বৈশ্বিক কোভ্যাক্স কার্যক্রমে ইইউ’র সহায়তার নানা দিক তুলে ধরেন টিরিংক। তিনি বলেন, বৈশ্বিক করোনা মোকাবিলায় অন্যতম চালিকাশক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চলতি বছর আমরা সারাবিশ্বে ২০ কোটি ডোজ টিকা সহায়তা দেব। ইইউ ও এর সদস্য দেশগুলো এরই মধ্যে মহামারি মোকাবিলায় ১৬ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং, উন্নয়নশীল দেশের সহযোগিতায় আমাদের পদক্ষেপের অবমূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দশমিক চার বিলিয়ন ইউরো দেওয়ার মাধ্যমে কোভ্যাক্স কার্যক্রমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দাতা সংস্থা ইইউ। পাশাপাশি ১৬ বিলিয়ন ইউরোর প্রতিশ্রুতি তো রয়েছে। করোনার নমুনা পরীক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় এই অর্থ খরচ হবে বলে জানান তিনি।
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইইউ’র কৌশলগত পরিকল্পনার বিষয়ে টিরিংক বলেন, বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের আরও সক্রিয় ভূমিকা আশা করে ইইউ। শুধু এ অঞ্চল নয়, পুরো ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের কৌশলগত অংশগ্রহণ বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইইউ’র কার্যক্রম বৃদ্ধি করা সম্ভব। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ ভাগ মানুষের বসবাস। আর এ অঞ্চল থেকেই বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ৬০ শতাংশ আসে।