ববি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের মহাসড়ক অবরোধ

0

৬৬

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের পদত্যাগ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে টায়ার ও কাগজ জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দুই প্রান্তে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা । সেখানে তারা অবস্থান নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর বেলা ১১টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান করে টায়ার ও কাগজ জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যরা সভা করেন। শিক্ষার্থীরা আশা করেছিলেন সিন্ডিকেট সভা থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হবে বা তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্যের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তাই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছে। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

গত শনিবার বরিশাল সার্কিট হাউসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চার ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সদর আসনের এমপি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম, সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল।

বৈঠক শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হককে আর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন না করতে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধমে উপাচার্যকে ছুটি দিয়ে কিংবা পদত্যাগ করিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন সদর আসনের এমপি জাহিদ ফারুক শামীম।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওইদিন রাতেই রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল ও শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর নোটিশ জারি করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান। তবে এরপর ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও উপাচার্যকে বাধ্যতামূলক ছুটি কিংবা পদত্যাগ না করায় শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *