ফিলিস্তিনিদের ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বেইজিংয়ে ১২টি গোষ্ঠীর চুক্তি সই !
বৃহস্পতিবার,
৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫ জুলাই ২০২৪ ইং ,
দিনবদল ডেস্ক : ইসরায়েল যখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তার হাত পেতেছে তখন ফিলিস্তিনের দুই গোষ্ঠী গিয়েছে চীনের দরবারে। সেখানেই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ আন্দোলনসহ অন্যদের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের কথা ঘোষণা করেছে হামাস। চীন বলেছে, এর ফলে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষে এ উপত্যকায় ফিলিস্তিনের সব পক্ষের সম্মিলিতভাবে শাসন করার সুযোগ তৈরি হবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর আমন্ত্রণে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক, ফাতাহর প্রতিনিধি মাহমুদ আল আলাওল এবং অপর ১২টি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা গত মঙ্গলবার বেইজিংয়ে বৈঠকে বসেন। ওয়াং ই বলেন, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে গাজা শাসন করতে অন্তর্র্বতীকালীন জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে সম্মত হয়েছেন প্রতিনিধিরা। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা আবু মারজুক বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আজ (মঙ্গলবার) আমরা একটি চুক্তি সই করেছি। জাতীয় ঐক্য গড়ার মধ্য দিয়ে এ যাত্রা শেষ হবে।’
গাজায় ৯ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের যুদ্ধ চলার মধ্যে ফিলিস্তিনের বিবদমান গোষ্ঠীগুলো নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ার এ ঘোষণা দিল। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। প্রতিশোধ হিসেবে ওই দিন থেকেই গাজায় তা-ব চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত এ উপত্যকায় ৩৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু। ইসরায়েলের বিরামহীন হামলায় গাজায় তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে চীন। তবে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ও পশ্চিম তীরের শাসকগোষ্ঠী ফাতাহর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ প্রচেষ্টা জটিলতার মুখে পড়েছে। তবে মঙ্গলবারের বৈঠক শেষে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো নিজেদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। বেইজিং ঘোষণা নামের ওই চুক্তি সইয়ের পর ওয়াং বলেন, গাজায় যুদ্ধপরবর্তী সময়ে একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সমঝোতা হওয়ার বিষয়টি এ চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক