ফখরুলের ‘বিশ্রী’ মন্তব্য প্রত্যাহার চাইলেন ওবায়দুল কাদের

0

০১ আষাড় ১৪২০ বঙ্গাব্দ,
১৫ জুন ২০২৩ ইং,
আব্দুস সাঁতারঃ

দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে নিয়ে করা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরূপ মন্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের কী বিশ্রি মন্তব্য। বিষাক্ত কথা। কী করে বের হয়? দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে বলে কুত্তা মার্কা নির্বাচন। তিনি কি গাজীপুর, বরিশাল, খুলনা, কক্সবাজারের নির্বাচন দেখেননি? সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিএনপি বলে কুত্তা মার্কা নির্বাচন।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ শব্দ ব্যবহার করার পরও মার্কিন ভিসা নীতি এখানে কী করবে, এটা তো সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেছে বিএনপি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ যাঁরা বিদেশ থেকে কথা বলছেন, এ ঘটনায় তাঁরা কী ব্যবস্থা নেবেন? এটা কি সুষ্ঠু নির্বাচনে অন্তরায় নয়? এটা কারা করেছে—বিএনপি ও তার দোসররা।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করবে, গ্রেপ্তার করা হলে বলবেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে! বিনা বিচারে আটক, অভিযোগের অন্ত নেই।
বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি উপর্যুপুরি আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় মরহুম ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপিকে বলেছিলেন, হাঁটুভাঙা দল। আমাদের হাঁটু ভাঙেনি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপির হাঁটুর কাঁপুনিও শুরু হয়েছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কাউকে ভয় পায় না, আমাদের ঈমানের শক্তি আছে, দেশপ্রেম আছে। আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস এ দেশের জনগণ।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা রাজনীতির নামে বড় বড় কথা বলে, মিথ্যাচার করে, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, তারা এসব করছে মূলত বাংলাদেশ যাতে আরও কষ্টে নিপতিত হয়, যাতে বাংলাদেশ সক্ষমতার সঙ্গে চলতে না পারে। আজকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশের বাইরে থেকেও খেলা চলছে, চক্রান্ত চলছে। কোটি কোটি টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করা হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ক্ষমতায় না থাকলেও তাদের সে অর্থ আছে। লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। দেশটা আমাদের, মাথাব্যথা তাদের।’
ওবায়দুল কাদের এ সময় বলেন, ‘কেউ কেউ মনকলা খাচ্ছে—এই বুঝি নিষেধাজ্ঞা এল। ভিসা নীতিতে পড়ল আওয়ামী লীগ সরকার। ফখরুল তো দিনের বেলায় স্বপ্ন দেখছে।’

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার মানবিক কারণে তাদের পাশে আছে। আমাদের সংকটের মধ্যেও ১২ লাখ রোহিঙ্গার খাওয়া-দাওযার দায়িত্ব নিতে হয়েছে। জাতিসংঘ এদের ভরণপোষণের প্রয়োজনীয় ফান্ড দিতে পারছে না বলে অপারগতা প্রকাশ করেছে। ফান্ড ইতিমধ্যে অর্ধেকে নেমে এসেছে। আজকে যাঁরা বড় বড় কথা বলেন, তাঁরা কি এটা জানেন না? এ সংকটে ১২ লাখ লোকের দায়িত্ব আমরা কীভাবে পালন করব?’

কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুমসহ কৃষক লীগের নেতারা।

পরে কৃষক লীগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *