নিয়মিত মধু সেবন করুন নিরোগ থাকুন।

0

৩১ অক্টোবর, ২০২১ ইং,
২১ কার্তিক , ১৪২৮ বঙ্গাব্দ,

এন্টিবায়োটিক সেবনের মাধ্যমে শরীরে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টান্স তৈরি হয়ে যাচ্ছে যার পরিণতি খুবই ভয়াবহ৷। যেমন সামান্য জ্বর – সর্দি হলেও মানুষ মৃত্যুবরণ করতে পারে । শরীর এন্টিবায়োটিক রেজিস্টান্স হওয়ায় আরো শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, পরিবারের কারো শরীরে রেজিস্ট্যান্স হলে পুরো পরিবারই এর শিকার হতে পারে।

এ থেকে বাঁচার উপায় হলো, সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক তৈরী করে রেখেছেন। যেই এন্টিবায়োটিকের রেজিস্টান্সের ক্ষমতা কোন ব্যাকটেরিয়ার নেই। প্রাকৃতিক সেই এন্টিবায়োটিকের নাম মধু। নিয়মিত মধু খেলে সকল প্রকার ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার শক্তি হবে আপনার শরীরের। যার ফলে আপনার শরীরও রক্ষা পাবে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হওয়ার হাত থেকে।

শীতে সুস্থ থাকতে নিয়মিত মধু খাওয়ার বিকল্প নেই। শীত আসলেই ঠান্ডা ও সর্দি-কাশির উপদ্রব বেড়ে যায়; আর সাথে যোগ হয় মাথা ব্যথা? মধু খাওয়ার মাধ্যমে আপনি এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। আর শীতের ঠান্ডায় মধু দেহকে গরম রাখে। এরকম হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে যদি নিয়মিত খাওয়া হয় মধু।

নিয়মিত যদি পরিমাণ মতো দারুচিনির পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের পরিমাণ বাড়তে থাকে যে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হয়। এক চা চামচ আদার রস এবং এক চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে ও সন্ধেবেলা খেলে সর্দি সেরে যায় ও খিদে বৃদ্ধিপায়। হজম সমস্যার সমাধানেও কাজ করে মধু।

গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তি পেতে একজন ব্যক্তি দিনে তিন বেলা দুই চামচ করে মধু খেতে পারেন। ওজন কমাতে মধু বেশ কার্যকর। মধুতে নেই কোনো চর্বি। পেট পরিষ্কার করে, চর্বি কমায়, ফলে ওজন কমে। মধু শুধু একটা পানীয় নয়, বরং এটা রোগ প্রতিরোধক এবং অনেক সময় প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে। শুধু আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র নয়, ধর্মীয় ভাবেও মধুকে অসাধারন খাবার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মধুকে বলা হয়েছে সকল রোগের প্রতিষেধক হিসেবে।

মধুর গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে।মধু খেলে শরিরে ( রাসায়নিক উপাদান)এন্ডরফিন তৈরি হয় ফলে ঘুমের ভাল কাজ করে। স্তন, প্রস্টেট, পায়ু, অন্ত্রেসহ অনেকরকম ক্যান্সার থেকে মুক্তি মিলে।
খোশনুর ইসলাম বনি
ব্রান্ড ম্যানেজার,
বীল্যান্ড মধূ

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *