দিয়াগো সবসময় আমাদের হৃদয়ে: নাপোলি
আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ম্যারাডোনা বুধবার মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তার মৃত্যুতে আর্জেন্টিনায় তিন দিনের শোক শুরু হয়েছে। ম্যারাডোনার চিরবিদায়ে হতবাক ইতালিয়ান সিরিএ লিগের দল এসএসসি নাপোলিও। তবে দিয়েগো সবসময় নাপোলি এবং নাপোলি সমর্থকদের হৃদয়ে থাকবে জানিয়ে ম্যারাডোনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ক্লাবটি।
দলটির নীল জার্সিতে খেলা ম্যারাডোনাকে নীল হৃদয়ে স্মরণ করে ক্লাবটি নিজেদের টুইটারে লিখেছে, “সবসময় আমাদের হৃদয়ে। দেখা হবে দিয়াগো”।
নিজেদের আরেকটি টুইটে ক্লাবটি লিখেছে – “পৃথিবী অপেক্ষায় আছে আমাদের প্রতিক্রিয়া শোনার জন্য কিন্তু যে বেদনার মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি সেই বর্ণনা দেওয়ার মতো কোন শব্দ আমাদের কাছে নেই। এখন শোক পালনের সময়। দিয়াগো”।
১৯৮৪ সালে স্প্যানিশ ফুটবল জায়ান্ট বার্সালোনা ছেড়ে নাপোলি’তে আসেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। তাও আবার সে সময়ের রেকর্ড পরিমাণ ট্রান্সফার ফি প্রায় সাড়ে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে। সে বছরের ৫ জুলাই সান পাওলো স্টেডিয়ামে নাপোলি ভক্তদের সামনে হাজির করা হয় ম্যারাডোনাকে। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সালে ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের কারণে ১৫ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্লাবটিতে নিজের ক্যারিয়ারে স্বর্ণালি সময় পার করেন দিয়েগো।
আবার একইসঙ্গে নাপোলি’কেও সেসময়ের সাফল্যের শেষ চূড়ায় নিয়ে যান ম্যারাডোনা। একবারও সিরিএ শিরোপা না জেতা নাপোলিকে দুই দুই বার সিরিএ শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দেন; ১৯৮৬-৮৭ এবং ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে। এছাড়াও অন্তত দুই বার ম্যারাডোনার নেতৃত্বে লীগের রানার্স আপ হয় নাপোলি; ১৯৮৭-৮৮ এবং ১৯৮৮-৯৯ মৌসুমে। বলা যায়, এক রকম ম্যারাডোনা ম্যাজিকে ইতালির দক্ষিণের ক্লাব হিসেবে সবসময় আন্ডারডগ থাকা নাপোলি পুরো ইউরোপে নিজের প্রভাব ফেলতে শুরু করে।
১৯৯১ সালের দিকে অবশ্য ক্লাবটির সঙ্গে অফিসিয়াল সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে ম্যারাডোনার। নিজের মাদক সেবন এবং বিষণ্ণতার উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারায় বেশ কয়েকটি ম্যাচ ও দলের প্র্যাকটিসে অংশ নিতে পারেননি ম্যারাডোনা। এর জন্য ক্লাবটি তাকে ৭০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানাও করে। তবুও ক্লাবটির সাথে সবসময় এক আত্মার সম্পর্ক ছিল হ্যান্ড অব গড এর মালিকের।