তারেককে ফিরিয়ে আনুন, তার বেয়াদবি আর সহ্য হচ্ছে না
দিনবদল ডেক্স: চাঁদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নেত্রী এখন দুর্নীতির দায়ে কারাভোগ করছেন। তারা গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে দুর্নীতি পরায়ণ তারেককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে, যা নিয়মবহির্ভূত।
তিনি বলেন, বিদেশে বসে দণ্ডিত তারেক রহমান জামায়াতের অর্থায়নে বিভিন্ন সভাসমাবেশ থেকে অঙ্গুলি হেলনে এদেশে অরাজকতার নির্দেশ দিচ্ছেন। তাই যে কোনো উপায়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাকে ফিরিয়ে আনুন তার বেয়াদবি আর সহ্য হচ্ছে না।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া সভাপতিত্ব করেন।
শফিকুর রহমান বলেন, আমরা শুনেছি তারেক রহমান লন্ডনে বসে অঙ্গুলি হেলনে দেশে দল চালাচ্ছেন। তার নির্দেশ মত দেশে বিএনপি- জামায়াতসহ জোট কাজ করছে। তারা এদেশে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর একটি সুন্দর নির্বাচন হলে তাদের সে ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে যায়। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন, তারা টক-শোতে উন্নয়নের বিপরীতে কথা বলেন। তারা তখন বলেছেন গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন হবে না। ২০১৮ সালে সুন্দর নির্বাচনে যখন প্রধানমন্ত্রী টানা তৃতীয়বার এবং মোট চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তখন আর তাদের কথা বার্তা ততটা জোরে শোনা যাচ্ছে না। এসব বুদ্ধিজীবীদের এখন আর দেখা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে জাতি যুদ্ধ করে দেশ শাসন করে সে জাতি এগিয়ে যাবেই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। লাখ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এদেশ পেয়েছি। একে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই অমর ভাষণের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রেস ক্লাবের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যে বিষবৃক্ষ রোপন করেছিলেন তা এক সময় বড় আকার ধারণ করে, দেশ পিছিয়ে যায়। দেশে জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বিষবৃক্ষ আজ শেষ হতে চলেছে।
বিএনপি বলে- জিয়াউর রহমান নাকি স্বাধীনতার ঘোষক, এটা একেবারেই মিথ্যা কথা। কোনো প্রমাণেই পাওয়া যাবে না তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন অনেক শান্তিতে বসবাস করছেন। জামা-জুতো পরে সবাই ভালো খাবার খায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষক আর গুলি খেয়ে মরে না। সারের ডিলার আজ কৃষকের পিছনে ছোটে। এবারের যে নির্বাচন হয়েছে- সেখানে আমরা কোন হীনমন্যতা বোধে ভোগেনি। কিন্তু বিএনপি অনেক হীনমন্যতায় ভুগেছে। তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তাদের নেতা কে তা তারা বলতে পারেনি। সে কারণে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা অযোগ্য, দুর্নীতি পরায়ন। সে জন্য আজ তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।