“তথ্যপ্রযুক্তির সম্ভবনায় বাংলাদেশ “

0

images (60)
বর্তমান বিশ্বের চালিকা শক্তি প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তি খাতে নতুন সব সম্ভবনা নিয়ে বাংলাদেশের এগিয়ে চলাটা চোখে পড়ার মতন।
নতুন শিল্প বিপ্লবের দশকটিকে বলা হচ্ছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দশক এবং ডাকা হচ্ছে ৪.০ নামে। কিছু নতুন সম্ভাবনাময়তা চোখে দেখছেন বিভিন্ন সংগঠন ও বিশ্লেষক শ্রেণি।

সম্প্রতি আর্মেনিয়ার বিসিজি সিনিয়র পার্টনার ও গ্লোবাল লিডার ফর ডিজিটাল গভর্নমেন্ট মিগুয়েল কারারসকো বলেন, “প্রযুক্তি কর্মসংস্থান তৈরি করে। আগামী দিনে যে রকম কাজ হবে, এর ১০ শতাংশ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ২০ শতাংশ করবে প্রযুক্তি এবং বাকি ৭০ শতাংশের জন্য মানুষকেই লাগবে। ”

এজন্য যুগোপযোগী দক্ষ কর্মী তৈরি করতে হবে। আমাদের দেশের সফটওয়‌্যার কর্মীরা সেটাই করছে। জেনেক্স ইনফোসিস, সিনেসিস আইটি, ব্রেইনস্টেশন, ইক্সোরা, বিজেআইটি, প্রাইডসিস, সিসটেক ডিজিটাল, ব্র্যাকআইটি, মাইসফট, মিডিয়াসফট, ইরা ইনফোটেক, নেসেনিয়া, টিকন, পিপপল ’এন টেক, এনআইটিএস, বিভিক্রিয়েটিভস, টেকনোভিস্তা, আমরা টেকনোলজিস, বি-ট্র্যাক টেকনোলজিস, এডিএন টেকনোলজিসের মতো আধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করছে।

এই খাতে বাংলাদেশের উন্নতি প্রসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের (উইটসা) মহাসচিব জেমস পয়জ্যান্টস বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ ভালো করছে এবং যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে বলেই উইটসা ঢাকাকে বেছে নিয়েছে বিশ্ব সম্মেলন করার জন্য। বাংলাদেশের ‘ভিশন:২০২১’ রয়েছে, যার মাধ্যমে আইসিটিতে দেশ এগিয়ে চলেছে।

সরকার কতৃক ‘ ডিজিটাল বাংলাদেশ ” গড়ে তোলার উদ্যোগ সমস্ত বিষয়টিকে করে তুলছে অারো মজবুত। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির সেবা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমানে দেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের আয় ১০০ কোটি ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ এ আয় ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা প্রযুক্তির বিকেন্দ্রীকরণ করছি। এ জন্য দেশব্যাপী ২৮টি হাইটেক পার্ক করা হয়েছে। এখানে আমাদের সবার একটাই ইচ্ছা, তা হলো অর্থনৈতিক-সামাজিক উন্নয়নে প্রযুক্তি ব্যবহার করা।

এ ব্যাবস্থাটিকে অারো জোরালো করে তোলার জন্য কাজ চলছে ফাইফ – জি সেবার অাওতাভুক্ত অানার। একইসাথে কাজ চলছে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রগুলোতে কিছু পরিবর্তন অানার। রোবটিক্স ও অার্টিফিশিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর জোর প্রদান করা হচ্ছে। দেশে ব্লকচেইন, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স সেবা নিয়ে কাজ করছেন প্রাইডসিস আইটির ব‌্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার ইকবাল। তিনি বলেন, তাঁর প্রাইডসিস আইটির তৈরি ইআরপি সফটওয়‌্যার, মাদাগাস্কার, ফিজি, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে ব‌্যবহার করা হচ্ছে। তিনি থাইল‌্যান্ডের জন‌্য এআই, ব্লকচেইনের মতো প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছেন। এ ধরনের প্রযুক্তিই আগামী এক দশক রাজত্ব করবে বলে মনে করেন তিনি।

আগামী দশকটিতে তথ্য ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। সরকার এই ক্ষেত্রটিতে অাগামী দিনের অনেক বড় রকমের সাফল্য দেখতে পাচ্ছেন এবং উদ্যোক্তা শ্রেণিকে অারও বেশি করে এগিয়ে অাসার জন্য অাহ্বান জানিয়েছেন। বিগত সময়ের সাফল্যগুলোই বর্তমান উদ্যোগগুলোকে করে তুলছে অারও উজ্বল ও অালোকিত। তথ্য ও প্রযুক্তিক্ষেত্রের এই পরিবর্তনগুলোই এদেশের অার্থ সামাজিক ও উন্নয়নশীলতাই অকল্পনীয় পরিবর্তন অানবে বলে অনেক অাশাবাদী সরকার, উদ্যোক্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গবেষকগণ। এরই হাত ধরে বিশ্বের সামনে অামরা দেখতে চলেছি সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ এক নতুন বাংলাদেশকে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *