ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী নিষেধাজ্ঞার পক্ষে আমিরাতের সাফাই
দিনবদল ডেক্স: সদ্য দায়িত্ব নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মুসলিমবিরোধী নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের নির্বাহী আদেশের পক্ষে সাফাই গেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ইসলামী রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাত। ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়ে তারা বলছে, ওই অভিবাসন নীতিতে মুসলমানদের ধর্মকে নিশানা করা হয়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এই খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে তিন মাসের জন্য ৭ মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে স্থগিতাদেশ দেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি শরণার্থী কর্মসূচি চার মাসের জন্য স্থগিত করেন তিনি। তবে সব শরণার্থীর বেলায়, কর্মসূচি স্থগিতের মেয়াদ নির্দিষ্ট ৪ মাস হলেও সিরিয়ার ক্ষেত্রে এই মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের। প্রশাসনের শরণার্থী সীমিতকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন নবনির্বাচিত এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মুসলিমদের বদলে খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়। তা সত্ত্বেও আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে কোনও ইসলামবিরোধীতা খুঁজে পান না।
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ দাবি করেন,সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তা যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। কোনো ধর্মের সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতা নেই। একই রকম বক্তব্য দিয়েছিলেন ট্রাম্প। জানুয়ারিরর শেষ নাগাদ হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন যে এ নিষেধাজ্ঞা মুসলিম নিষেধাজ্ঞা নয়, মিডিয়া মিথ্যাচার করছে। এর সঙ্গে ধর্মের সংযোগ নেই…. এটি সন্ত্রাস দমন এবং আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখার বিষয়।’
আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আবুধাবিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সম্মেলনে তিনি সিরিয়ায় নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্প যে প্রস্তাব করেছেন সেবিষয়েও কথা বলেছেন।