জামিন মঞ্জুর রোজিনার, দুটি মোবাইলফোনের ফরেনসিক পরীক্ষার আবেদন

0

শাহ্‌ মুবিদ খানশূর:

পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা এবং পাসপোর্ট জমা দেয়ার শর্তে অফিশিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্টের মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বাকি বিল্লাহর ভার্চুয়াল আদালত রোববার সকালে রোজিনা ইসলামের জামিনের আদেশ দেন।

‘জামিন বিচারক আদেশে বলেন, ‘পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হলো। এ ছাড়া তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। প্রত্যেকের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ও সহনশীল আচরণ করবেন এমন প্রত্যাশা করছি।’রোজিনার, দুটি মোবাইলফোনের ফরেনসিক পরীক্ষার আবেদন

২০ মে বৃহস্পতিবার বাকি বিল্লাহর ভার্চুয়াল আদালতে সাংবাদিক রোজিনার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন রোজিনার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি, আমিনুল গনি টিটু, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও আশরাফুল আলম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন হেমায়েত উদ্দিন হিরোন। ২৩ মে রোববার, আদালত শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন ও জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।

অন্যদিকে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় রোজিনা ইসলামের কাছ থেকে জব্দ হওয়া দুটি মোবাইলফোন পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর আবেদন করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ। ২৩ মে রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ আবেদন করা হয়।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের জামিনের বিরোধিতা করেন হেমায়েত উদ্দিন হিরোন। আদালত শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন ও জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য ২৩ মে রোববার, দিন ধার্য করেন।

গত ১৮ মে মঙ্গলবার, রোজিনা ইসলামকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। এরপর রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেন। এরপর প্রিজনভ্যানে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন।

সচিবালয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পর ১৭ মে সোমবার, রাত ৯টার দিকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। ঐদিন রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে মন্ত্রণালয়।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *