চীন ইস্যুতে আরো কোঠর জো বাইডেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীন ইস্যুতে নমনীয় হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই বাইডেন প্রশাসনের। পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্টও চীনের বিরুদ্ধে কঠোর নীতিতে এগোচ্ছেন। গত মাসেই চীনের পাঁচ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করেছিলেন তিনি। এবার সেই তালিকায় যোগ হচ্ছে আরও কয়েকটি চীনা প্রতিষ্ঠান। আর এর কারণ হিসেবে জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের নিপীড়নের অভিযোগকে দাঁড় করাচ্ছেন জো বাইডেন।
রয়টার্সকে একটি সূত্র জানিয়েছে, উইঘুর নির্যাতনের অভিযোগে মার্কিন বিচার বিভাগ নতুন করে অন্তত ১৪টি চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করতে পারে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের নাম এখনো জানা যায়নি।
নতুন বিধিনিষেধের খবরের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস। কিছু বলতে রাজি হয়নি হোয়াইট হাউস, আর মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ থেকে এ বিষয়ে কোনো সাড়াই পাওয়া যায়নি।
দুটি বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ শুক্রবারের মধ্যেই ১০টির বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানকে তাদের অর্থনৈতিক কালোতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে বাইডেন প্রশাসনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং এলাকায় ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে বন্দি রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে জিনপিং সরকার। তবে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে চীন। তাদের দাবি, জিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবির নয়, ‘প্রশিক্ষণকেন্দ্র’ চালু করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ধর্মীয় উগ্রবাদীদের দমনই এর মূল উদ্দেশ্য।