চীনে সদ্য বিবাহিতদের অতিরিক্ত বেতন ও ছুটি দেওয়ার পরিকল্পনা
২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২০ বঙ্গাব্দ,
১৩ জুন ২০২৩ ইং,
আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ
গত তিন দশকে রেকর্ড সংখ্যক বিয়ের হার কমছে চীনে। এর ফলে ব্যাপক জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছ দেশটিতে। তাই তরুণদের বিয়েতে উৎসাহিত করতে দেশের ২০টি শহরে ‘নিউ এজ’ একটি পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে চীন সরকার। এর আওতায় সদ্য বিবাহিত যুগলদের অতিরিক্ত বেতন ও ছুটি দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধনী হওয়ার আগেই বার্ধক্যদের দেশে পরিণত হবে চীন। এ কারণে দেশটির কর্মশক্তি কমে যাবে এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেবে। এমতাবস্থায় তরুণদের বিয়ে করতে উৎসাহিত করতে দেশের ২০টি শহরে ‘নিউ এজ’ একটি পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে চীন সরকার। এর আওতায় সদ্যবিবাহিত যুগলদের অতিরিক্ত বেতন ও ছুটি দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
২০২২ সালে, চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সংখ্যক বিয়ের রেকর্ড পাওয়া যায়। গত বছর দেশটিতে সবচেয়ে কম সংখ্যক দম্পতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধর কারণে দেশটির জন্মহার হ্রাস পেতে শুরু করেছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত এক দশকে চীনে বিয়ের হার কমে আসছে। কমতে কমতে ২০২২ সালে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে দেশটির বিবাহ সংখ্যা। ধারনা করা হচ্ছে, এই ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে করোনা মহামারি।
০৯ জুন শুক্রবার চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২২ সালে চীনে মাত্র ৬ হাজার ৮৩৩ দম্পতি বিয়ে ও নিবন্ধন করেছেন। যা আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের চেয়ে প্রায় ৮ লাখ কম। পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় চীনের বিবাহ ১০ দশমিক পাঁচ শতাংশ কমেছে। যা ১৯৮৬ সালের রেকর্ডকেও হার মানিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
করোনা মহামারিতে চীনে লকডাউনের সময় বেশ কিছু বিধি নিষেধ জারি করা হয়। ফলে কমতে থাকে বিয়ে ও জন্মের হার। আর সে কারণেই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করছে দেশটির বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৩ সালে চীনে রেকর্ড সংখ্যক বিয়ে হয়। ১৩ মিলিয়নেরও বেশি দম্পতি বিয়ে করেন যা ২০২২ সালের বিয়ের সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। ২০১৪ সাল থেকে ধীরে ধীরে বিয়ের সংখ্যা কমতে থাকে। এটিকেও দেশটির জনসংখ্যা হ্রাসের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে চীন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর চীনে শিশু জন্মহার ছিল প্রতি হাজারে ৬.৭৭। বিগত বছর, ২০২১ সালে এটি ছিল সাড়ে সাত শতাংশের বেশি। এটি দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যা বিশ্ব অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।