গাড়ি চালিয়ে দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটা দেখতে যাবো অবশ্যই:প্রধানমন্ত্রী
২৪ অক্টোবর, ২০২১ ইং,
০৮ কার্তিক , ১৪২৮ বঙ্গাব্দ,
বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সকাল ১১টায় তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পায়রা সেতু উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘যে নদীতে আমি সব সময় স্পিডবোটে চড়েছি সেই নদীর ওপরের সেতুতে যদি হাঁটতে পারতাম তবে সত্যি খুব ভালো লাগতো। কিন্তু করোনার কারণে আসলে এক প্রকার বন্দি জীবন, সেজন্য আর সেটা হলো না। তবে আমার আকাঙ্ক্ষা আছে একদিন গাড়ি চালিয়ে সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন, দৃষ্টিনন্দন এ নতুন সেতুটা দেখতে যাবো অবশ্যই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেই আপনাদের সঙ্গে গণভবনে বসেও কথা বলতে পারছি, মিলিত হতে পারছি। তবে এটা ঠিক যে আমি যদি সেখানে উপস্থিত থাকতে পারতাম, পায়রা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে পারতাম বা সেতুতে নেমে যদি একটু দাঁড়াতে পারতাম, পায়রা নদীটা দেখতে পারতাম।’
আজ প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক উভয় সড়কে পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৬-লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার শেষ ও পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের শুরুর অংশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পায়রা নদীর ওপর সেতুটির অবস্থান। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা থেকে এ সেতুটি ১৩৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বরিশাল নগরের রূপাতলী থেকে ২৯ কিলোমিটার, পটুয়াখালী শহর থেকে ১১ কিলোমিটার এবং সাগরকন্যা কুয়াকাটার বাস টার্মিনাল থেকে ৭৯ কিলোমিটার দূরে এ সেতুর অবস্থান। সেতুর উত্তর দিকে ওজন স্কেল এবং দক্ষিণ দিকে ইলেকট্রনিক টোল প্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে।
পায়রা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা, যার ৮২ ভাগ অর্থ বহন করছে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং এপেক ফান্ড। ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই শুরু হওয়া এ সেতুর ইতিমধ্যে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের সেতুর উভয় পাড়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক রয়েছে। নদীশাসনের কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন’ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করছে।