কেজিতে ১০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম
চার দিনের ব্যবধানে ঢাকায় দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। চলতি সপ্তাহে দেশের বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ঢুকতে পারে, এমন সম্ভাবনা থেকে দামের পতন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আড়তের পাশাপাশি তিনটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। কৃষি মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, পেঁয়াজের আড়তে বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজ জমে আছে। শরীফ এন্টার প্রাইজের বিক্রেতা আরিফ হোসেন বলেন, আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আছে, কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না। কয়েক দিন থেকেই পেঁয়াজের দাম কমছে। গতকাল তিনি দেশি পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজিতে এবং চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ২০-২৪ টাকা কেজিতে বিক্রি (পাইকারি) করছেন।
আড়তে পুরোনো দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ এবং চীন ও মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজও দেখা গেছে। তবে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেখা যায়নি। দেশি পেঁয়াজের মান অনুযায়ী দামের হেরফের হচ্ছে।
দুপুরে কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, এখানে কৃষি মার্কেটের আড়তের চেয়েও কেজিপ্রতি ১-২ টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের আড়তের একজন ব্যবসায়ি বলেন, তাঁরা দেশি পেঁয়াজের মান অনুযায়ী ২৮-৩০ টাকা কেজি এবং চীনের পেঁয়াজ ২০-২৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন। একই আড়তের রাজীব মল্লিক বলেন, তিন-চার দিন আগে দেশি পেঁয়াজ ৩৮-৪০ টাকা কেজি এবং চীনের পেঁয়াজ ২৪-২৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এ সপ্তাহে ভারতের পেঁয়াজ দেশের বাজারে ঢুকতে পারে। এ খবর জানাজানির পর পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। তবে ভারতের পেঁয়াজ দেশে এলেও দাম আর হয়তো কমবে না।
কারওয়ান বাজারে খুচরা বাজারে চীনের পেঁয়াজ ২৫-২৬ টাকা কেজি, দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৪৫ টাকা কেজি, মিসরের পেঁয়াজ ৩৪-৩৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা যায়।