কারখানায় আগুনে পুড়লো এক লাখ টন চিনি

0

সোমবার,
১৯ ফাল্গুন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
০৪ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চিনি কারখানায় লাগা আগুনে এক লাখ মেট্রিক টন চিনি পুড়ে গেছে। এই বিপুল পরিমাণ চিনি আসন্ন রমজান ঘিরে আমদানি করা হয়েছিল।

৪ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় শিল্প গ্রুপটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন রমজান ঘিরে মজুত করা এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনির পুরোটাই আগুনে পুড়ে গেছে।

এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, রমজানের জন্য এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি মজুত করা হয়েছিল। এই চিনি ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছিল। আগুনের পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে চিনি আর অবশিষ্ট নেই। ফলে রমজানে আমাদের পক্ষে বাজারে চিনি দেওয়া সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যায়। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি না বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত এর কিছুই আমরা জানতে পারিনি। তিন ঘণ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন যেন মূল কারখানায় ছড়িয়ে না পড়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সে চেষ্টাই করছেন। আমরাও তাদের সহায়তা করছি।

এর আগে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার খবরে বিকেলে ৩টা ৫৩ মিনিটে স্থানীয় পাঁচটি ফায়ার স্টেশনের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট শুরু থেকে কাজ করছে। পরে তাদের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট যোগ দেয়।

এদিকে আগুন লাগার সাড়ে তিন ঘণ্টা পরও তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নির্বাপণে কাজ করছে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট।

এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মিলে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে দুটি প্ল্যান্টে পরিশোধন করা হয়। তার মধ্যে প্ল্যান্ট-১ এর দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৯০০ টন আর প্ল্যান্ট-২ এর দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি এবং কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হয়।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *