করোনা সংক্রমণ ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ’: ট্রাম্প

0

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়াকে ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ’ বলে তিনি মনে করেন। ৭ অক্টোবর বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে এক ভিডিও বার্তা দেন তিনি। অনেকটা বিজ্ঞাপনের মতোই তিনি এটি প্রচার শুরু করেছেন।

প্রায় পাঁচ মিনিটের এ ভিডিও বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরুতেই বলেছেন, ‘হেই! সম্ভবত আপনি আমাকে চিনতে পারছেন। আমি আপনাদের প্রিয় প্রেসিডেন্ট!’

প্রায় পাঁচ মিনিটের ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বায়োটেক কোম্পানি রিজেনারনের পরীক্ষামূলক ঔষধ নিয়ে কথা বলেছেন। এন্টিবায়োটিক এ ককটেল দিয়ে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এখনো ওষুধটি সাধারণের ব্যবহারের জন্য নিরাপদ মনে করে অনুমোদন দেয়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, করোনা সংক্রমণের পর তিনি এটি নিজেই তাঁর জন্য ব্যবহারের অনুমতিদেন।

ট্রাম্প খুব ভালো বোধ করছেন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মনে করেন তাঁর সংক্রমিত হওয়াটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ। রিজেনারনের পরীক্ষামূলক ওষুধটি সম্পর্কে তাঁর আগে থেকেই জানা ছিলো। ওষুধটি ব্যবহারের জন্য তিনিই চিকিৎসকদের পরামর্শ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। রিজেনারনের পরীক্ষামূলক ওষুধটি অবিশ্বাস্যভাবে কার্যকর এবং নিজে সংক্রমিত না হলে এটিকে অন্য আরও কয়েকটি ওষুধের মতোই মনে করতেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, রিজেনারনের ওষুধটি তিনি নিজে যেমন ব্যবহার করেছেন, তেমনি সবার কাছে পৌঁছে দিতে চান। ওষুধটি তিনি জনগণের কাছে বিনা মূল্যে পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন বলেও ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেছেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কী কী বিশেষ ওষুধ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে গত সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিএনএন। প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞের বরাতে বলা হয়েছে, এই গ্রহে ট্রাম্প সম্ভবত একমাত্র করোনা রোগী, যিনি এমন ওষুধ পেয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তির আগে ট্রাম্পকে রেজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালের একটি পরীক্ষামূলক অ্যান্টিবডি থেরাপি দেওয়া হয়। এটি করোনাভাইরাসের মাত্রা কমাতে পারে। তা ছাড়া ট্রায়ালে এই থেরাপির ইতিবাচক ফল দেখা গেছে। ট্রাম্পকে অ্যান্টিবডি থেরাপির পাশাপাশি রেমডেসিভির ও ডেক্সামেথাসোনও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউসে ফিরে যান। হাসপাতালে ভর্তির মাত্র তিন দিন পর তিনি হোয়াইট হাউসে ফেরেন। ট্রাম্পের এত দ্রুত হাসপাতাল ছাড়া নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা আছে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *